Tarun Majumdar: আলোর পথযাত্রী তরুণ মজুমদার, নিভৃতে হবে দেহদান

কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলা সিনেমায় যেন এ যুগের অবসান ঘটল। সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত তরুণ মজুমদার চেয়েছিলেন নীরবে নিভৃতে হোক…

Tarun Majumdar: আলোর পথযাত্রী তরুণ মজুমদার, নিভৃতে হবে দেহদান

কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলা সিনেমায় যেন এ যুগের অবসান ঘটল। সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত তরুণ মজুমদার চেয়েছিলেন নীরবে নিভৃতে হোক শেষকৃত্য।

তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, যেহেতু তিনি বলে গিয়েছিলেন একেবারে নীরবে নিভৃতে ওনাকে যাতে কেউ ফুল মালা না দেন সেটাও ওনার সিদ্ধান্ত ছিল।

   

যেহেতু তিনি আগেই ঠিক করেছিলেন দেহদান করবেন তাই তাঁর দেহ ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে।

১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। কিন্তু পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা কলকাতাতেই। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে ছাত্র তরুণ মজুমদার পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

১৯৫৯ সালের ‘চাওয়া পাওয়া‘ থেকেই সিনেমা জগতে কাজ শুরু। ১৯৬২ সালে ‘কাঁচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরষ্কার পান তিনি। এরপর ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বালিকা বধু’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বর’, ‘দাদার কীর্তি’ একের পর এক অসামান্য ছবি দিয়ে গেছেন সিনে প্রেমীদের জন্য।

জীবনভর বামপন্থী। বারবার রাজনৈতিক আদর্শকে সামনে এনেছেন। তবে সব মহলেই জনপ্রিয় ছিলেন তরুণ মজুমদার। সোমবার সকাল ১১ টা ১৭ মিনিটে প্রয়াত হন তিনি।