লোকসভা ভোটের প্রচারে শনিবার শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কর্মসূচি ছিল হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এইদিন নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা পরে সভাস্থলে পৌঁছান। অন্যদিনের তুলনায় তাঁকে একটু ক্লান্ত লাগছিল। এইদিন তিনি তাঁর বক্তব্য মাত্র ত্রিশ মিনিটেই শেষ করেন। একটু তাড়াহুড়োর মধ্যেই তিনি সভাস্থল ছাড়েন, বলেন, ” কলকাতায় ফিরতে হবে। কর্মসূচী আছে।”
গতকালের বক্তব্য থেকে আজকের বক্তব্যের খুব বেশী অমিল নেই কিন্তু তাঁর গলায় ‘মোদী’ ধ্বনি আজকে একটু বেশীই শোনা গিয়েছে। ফের তিনি সনাতনী ধর্মের কথা তুলে ধরেন। রাম রাজ্যের গুণগান করেন তিনি। ধর্ম, দেশ, দেশভাগের প্রসঙ্গেই থাকেলন বেশ কিছুক্ষণ। আবার বললেন ” কে কে চান দেশটা ইউক্রেন হোক?” দেশকে শক্তিশালী করার কথা বলেন।
তিনি তৃণমূলের কথা প্রসঙ্গে বলেন, ” গত তেরো বছরে পিসিমণি কী করেছে? পিসিমণি ২১ হাজার মদের দোকান দিয়েছে।” একটু দম নিয়ে তিনি আবার বলেন, ” আগে রাজ্যে এক কোটি বেকার ছিলেন এখন দু’কোটি।এই করেছে পিসিমণি!” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিকে তিনি ‘নিকৃষ্ট’ বলে দাবি করেন।
তাঁর কথায় উঠে আসে ডিয়ার লটারির প্রসঙ্গ। নাম ধরে ধরে তিনি বলতে থাকেন লটারির মাধ্যমে কারা কোটিপতি হয়েছেন। জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের বিধায়কের নাম তিনি করেন। এখানেই শেষ রাজ্য পুলিশকে ‘চটিচাটা’ বলে উল্লেখ করেন।
তাঁর মুখ উঠে আসে গতকাল পূর্ব বর্ধমানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ” গতকাল ভাইপো একটি ভিডিও দেখিয়ে আপনাদের বোকা বানিয়েছে।”
তাঁর এই ব্যাক টু ব্যাক কর্মসূচী রাজ্য রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা হয়ত সময় বলবে। তবে আপাত দৃষ্টিতে এখন বাকি প্রার্থীর নাম ঘোষণা নিয়ে জটে জর্জরিত বিজেপি শিবির।