পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে হাই কোর্টের নির্দেশেই সুপ্রিম সায়

পঞ্চায়েত ভোট নির্বিঘ্নে করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ভোটে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মনে করা হচ্ছে,…

Supreme Court

পঞ্চায়েত ভোট নির্বিঘ্নে করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ভোটে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মনে করা হচ্ছে, রায় বহাল থাকায় শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়ল রাজ্য সরকার ও রাজ্য্ নির্বাচন কমিশনের।

হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যায় কমিশন। সেই আবেদন খারিজ হয় শীর্ষ আদালতে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতেই হবে। রাজ্য পুলিশকে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা চলবে না।

হিংসা কখনও নির্বাচনের সহযোগী হতে পারে না বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শনিবার শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া তাদের কাজ নয়। পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে রাজ্য। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়েছে।

সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী মীনাক্ষী আরোরা। মঙ্গলবার সকালে শুনানির শুরু থেকেই কার্যত শীর্ষ আদালতে চাপে কমিশন। কমিশনকে পর পর প্রশ্ন করতে থাকেন বিচারপতি নাগারত্ন। তিনি বলেন, “ভোট মানে হিংসার লাইসেন্স নয়’”।

বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বর্তমান পরিস্থিতি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, হিংসার পরিবেশে নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে হবে।

বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, ” নির্বাচন পরিচালনা মানে হিংসায় লিপ্ত হওয়ার লাইসেন্স দেয় না। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। হিংসার পরিবেশে নির্বাচন করা যাবে না। “

শুনানিতে কমিশনের তরফে থেকে দুটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। কমিশনের বক্তব্য, অতীত ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যের বেশি কিছু বুথকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ।

তাদের বক্তব্য, হাইকোর্ট এই রিপোর্টের ওপর ভরসা না রেখে কার্যত গোটা রাজ্যকেই স্পর্শকাতর হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছে।

বিচারপতি নাগারত্ন তখন রাজ্য ও কমিশনের কাছে জানতে চান, যখন বাংলার পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে বুঝতে পেরে, পাঁচ রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হয়, তাহলে সেই বাহিনী অন্য কোনও রাজ্য থেকে যদি না এসে কেন্দ্র থেকে আসে, তাহলে রাজ্যের আপত্তি কোথায়?

বিচারপতি আরও জানতে চান, কমিশন যেগুলোকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলিকে বাদ দিয়ে যদি বাকিগুলোতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হয়, তাহলে আপত্তি কোথায়?