একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ SUCI এখন টিমটিম করছে, ব্রিগেড সমাবেশে অক্সিজেন চায়

এসইউসিআই (SUCI)-এর ব্রিগেড (Brigade) সমাবেশ। ১৯৮৮ সালে ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিল এসইউসিআই। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর SUCI-র কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ আজ। সমাবেশে যোগ দিতে দিকে দিকে…

SUCI

এসইউসিআই (SUCI)-এর ব্রিগেড (Brigade) সমাবেশ। ১৯৮৮ সালে ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিল এসইউসিআই। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর SUCI-র কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ আজ। সমাবেশে যোগ দিতে দিকে দিকে থেকে আসছে মিছিল ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে। হাওড়া, শিয়ালদা, আলিপুরের উত্তীর্ণ থেকে ব্রিগেডের দিকে আসছে মিছিল।

রাজ্যে বিগত বাম জমানায় দুটি বিধানসভা আসন ছিল এসইউসিআই দলের নির্ভরযোগ্য সিট-কুলতলী ও জয়নগর। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সাথে জোট করে এসইউসিআই জয়নগর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। পরে সেই জোট ভেঙে যায়। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলন পর্বে তৃণমূলকে রাজনৈতিক সাহায্য করেছিল এসইউসিআই। বাম জমানার পর বর্তমান তৃণমূল আমলে দলটি আরও ক্ষয় রোগে আক্রান্ত। এই অবস্থায় ব্রিগেড সমাবেশ।

এসইউসিআই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সাধারণ সম্পাদক শিবদাস ঘোষের জন্ম শতবার্ষিকীর সমাপ্তিতে ব্রিগেডে সমাবেশে ডাক দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট দিল্লিতে শুরু হয় দলের প্রতিষ্ঠাতা শিবদাস ঘোষের (Shibdas Ghosh) জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। শনিবার ব্রিগেডে তা শেষ হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে আজ SUCI-এর ব্রিগেড সমাবেশের মূল বক্তা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ, হরিয়ানার রাজ্য সম্পাদক সত্য়বান, কর্নাটকের নেতা কে রাধাকৃষ্ণ। আজকের ব্রিগেড সমাবেশে ২৫ টি রাজ্য থেকে আসবেন নেতা ও কর্মীরা বলে জানা গিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নেপাল থেকেও বিভিন্ন বামপন্থী দলের নেতারা এই ব্রিগেড সমাবেশে হাজির থাকবেন বলে দলের তরফে দাবি করা হয়েছে। SUCI-এর ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ ১৩০ ফুট লম্বা ৩০ ফুট চওড়া করে গড়ে তোলা হয়েছে।

শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশ প্রসঙ্গে এসইউসিআই(সি)-র পলিটব্যুরো সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘সমাবেশে প্রচুর মানুষের জমায়েত হবে। এই সমাবেশ হবে আদর্শের জোরে বলীয়ান সুশৃঙ্খল জনতার গণ-সমাবেশ। আগামী দিনে সংগ্রামী বামপন্থার লাল ঝান্ডা সামনে রেখে জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দেশজুড়ে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়েই ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

সমাবেশের ফলে যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শহরে। কারণ ব্রিগেড ময়দানে সমাবেশ হলেই মিছিলের কারণে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতা। শনিবারও তেমন পরিস্থিতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছোট-বড় মিছিল আসতে শুরু করবে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-সহ ধর্মতলাগামী রাস্তাগুলিতে। যানজটের সৃষ্টি হতে পারে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোড, থিয়েটার রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, ডি এল খান রোড, মেয়ো রোড-সহ উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতার রাস্তা।