Suvendu Adhikari: বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর বলে অভিষেককে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে ধর্না-কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত হলেও তৃণমূলকে এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশের কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না।…

Subhendu Adhikari, BJP Leader from West Bengal

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে ধর্না-কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত হলেও তৃণমূলকে এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশের কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না। বাংলার শাসক দলের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি হলেও রাজঘাটের বাইরে মোতায়েন ছিল বিশাল সিআরপিএফ ও পুলিশ। অভিযোগ, অবস্থান কর্মসূচির কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই সিআইএসএফ ও দিল্লি পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে রাজঘাট ছাড়তে বলে ওখানে জমায়েতকারী তৃণমূলীদের। তারপরই রাজঘাট ছাড়েন তৃণমূল নেতারা। বাংলার শাসক দলের নেতৃত্বের এই আচরণকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! তাঁর কথায়, “বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।”

রাজভবন থেকে কলকাতার মেয়ো রোডে বিজেপির কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।”

মমতার বদলে কেন অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লিতে তৃণমূলের “বঞ্চনা প্রতিবাদ” প্রসঙ্গে শুভেন্দুর জবাব, “মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?” কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ কিশোর জব কার্ড দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের বার্তা দিয়েছেন।

এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজঘাটের বাইরে সাংবাদিক বৈঠকের সময় উত্তেজনা ছড়ায়। সাধারণ মানুষের রাজঘাটে প্রবেশে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিষেককে ওই জায়গা ছাড়তে বলে দিল্লি পুলিশের এক অফিসার। কিন্তু সেভাবে কর্ণপাত করেননি তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’।এরপরই সক্রিয় হয় পুলিশ। সরানো হয় সেখানে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ফলে বাধ্য হয়ে ওই জায়গা ছেড়ে চলে যান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

রাজঘাটের বাইরে অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ সেখান থেকে সকলকে সরিয়ে দেন। দর্শনার্থীদের অসুবিধার কথা বলে পুলিশ। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি পুলিশকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর পুলিশ আমাদের ভয় পেয়েছে। সেটা স্পষ্ট করে দিল।”