TET Scam: সিবিআই তদন্তে অনীহা, টেট মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে ২৬৯ জনকে প্রাথমিক শিক্ষক পদ থেকে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে…

TET Scam: সিবিআই তদন্তে অনীহা, টেট মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য

টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে ২৬৯ জনকে প্রাথমিক শিক্ষক পদ থেকে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য।

এর আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআই হাজিরা দিতে হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মাণিক ভট্টাচার্যকে। এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।

   

২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। ফলপ্রকাশ হয় ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে। ওই বছরই প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। পরের বছর অর্থাৎ, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বা অতিরিক্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগে প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৪২ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

মামলাকারী রমেশ আলি অভিযোগ, বেআইনিভাবে দ্বিতীয় নিয়োগপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, এই ২৬৯ জন চাকরীপ্রার্থী পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেনি। অভিযোগ ছিল এদের মধ্যে অনেকেই ফেল করে চাকরি পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে এই ২৬৯ জনকে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। কেন বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে এই ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল।
তখনই বিচারপতির প্রশ্ন, যদি প্রশ্নভুলের জন্য ২৬৯ জনকে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হয়। তাহলে বাকি ২৩ লক্ষ জনকে কেন বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হল না এই প্রশ্নের জবাব পর্ষদের তরফে দেওয়া হয়নি। ফলত আদালত মনে করছে এখানে দুর্নীতি হয়েছে।