মোদী সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী সেনা’ নিয়োগ অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ বিহার। বৃহস্পতিবারেও রেল এবং সড়ক অবরোধ জারি রয়েছে। জ্বলন্ত ট্রেনের ছবি ধরা পড়েছে ছাপরা এবং আরা জেলায়। ভাবুয়ায় রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
সূত্রের খবর, কেন অস্থায়ী ভিত্তিতে সেনাবহিনীতে নিয়োগ এর প্রতিবীদে উত্তপ্ত জনতা বিহারের ভাবুয়া রোড স্টেশনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের কাঁচ ভেঙে একটি বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে ক্ষিপ্ত জনতা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, যুবকদের চাকরির বড় ভরসা হল ভারতীয় সেনা। গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণরা সেনার চাকরিকে বেছে নেন। কিন্তু অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিবীর’দের চাকরি পাওয়ার চার বছরের মধ্যেই অবসর নিতে হবে। এককালীন কিছু টাকা মিললেও থাকবে না পেনশনের ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আবার নতুন করে চাকরির সন্ধান করতে হবে। অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ভবিষ্যৎ। সঙ্গে রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। এর ফলে দেশের নিরাপত্তায় প্রভাব পড়তে পারে।
এর প্রতিবাদে জেহানাবাদে এদিন চলছিল রেল অবরোধ। সেখানে ছাত্রদের জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে উপস্থিত হয় পুলিশ৷ কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, ইঁট ছোঁড়া শুরু হয়। এমনকি বেশ কিছু ছবিতে পুলিশকেও পাল্টা পাথর ছুঁড়তে দেখা যায়। বন্দুক তুলে ছাত্রদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে পুলিশ।
নওয়াদাতে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী সেনা নিয়োগের প্রতিবাদে চলে স্লোগান। জাতীয় সড়কের পাশাপাশি রেললাইনের ওপরেও টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ কর্মসূচি। বেশ কিছু সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। বারবার মাইকিং করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানায় পুলিশ৷ একই ছবি সারসা এবং আরা জেলাতেও। আরাতে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে৷
অন্যদিকে, একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রেললাইনের ওপর অবরোধ করে পুশআপ দিচ্ছেন অবরোধকারীরা। ছাপরাতেও একটি ট্রেনের বগি জ্বালিয়ে দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। পরে পুলিশ বাধা দিতে গেলে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে কয়েক জন বিক্ষোভকারীর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে আরা এবং জেহানাবাদে।