Kamduni Murder: কামদুনি মামলা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে

কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে। সোমবারই হতে পারে মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে…

Supreme Court

কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে। সোমবারই হতে পারে মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে দ্রুত শুনানির আর্জি জানায় রাজ্য। বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাইয়ের এজলাসে মামলার নির্দেশ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে কামদুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযুক্তদের তরফে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হয় সইফুল আলি এবং আনসার আলি। আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করা হয়। ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করের সাজা লঘু হয়। তাদের নিম্ন আদালত আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। যেহেতু তাদের ১০ বছর সাজা হয়ে গিয়েছিল, তাদের সাজা মকুব করে ডিভিশন বেঞ্চ।

   

হাইকোর্টের এই রায়ে ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদীরা। এই রায়কে মেনে নেয়নি রাজ্যও। এরপরই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। গত শুক্রবারের এই রায়ের পর রাত্রিবেলা সিআইডি-র একটি দল পৌঁছয় মৌসুমী কয়ালের বাড়ি। সেখানে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মামলার সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত করে তারা।

দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কামদুনি সফরের সময় তাঁর সামনে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। শুক্রবার রায় ঘোষণার পরে মৌসুমী বলেন, “আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাব। নির্ভয়া-কাণ্ডের আইনজীবীর সাহায্য নেব।”