স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরানো নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত

রাজভবন ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সংঘাত জুলাই মাস থেকে চলছে। ২৬ শে‌ জুলাই রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন সূত্রে। ইউজিসির নিয়ম মেনে উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হননি সুহৃতা…

West Bengal Governor CV Anand Bose

রাজভবন ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সংঘাত জুলাই মাস থেকে চলছে। ২৬ শে‌ জুলাই রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন সূত্রে। ইউজিসির নিয়ম মেনে উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হননি সুহৃতা পাল। আচার্যের যুক্তি সার্চ কমিটি দ্বারা নিয়োগ হলেও সেই সময় কমিটিতে থাকতেন না ইউজিসির কোনও প্রতিনিধি। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইউজিসির নিয়ম না মেনে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে রাজভবন।

আবার, সুহৃতা পাল যদি সরে যান, তাহলে কে আপাতত সেই পদ সামলাবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলছে রাজভবন। ইউজিসির নিয়ম না মেনে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে রাজভবন। তবে প্রশ্ন উঠছে, উপাচার্য সুহৃতা পাল এখন কী করবেন? তিনি কি আদৌ সরবেন পদ থেকে? নাকি হাঁটবেন আইনি পথে। কারণ রাজভবনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যা‌ওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন উপাচার্য। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিনি আইনি পরামর্শ নিয়েছেন ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে এ রাজ্যে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয় । সেই সময় উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ হত। তাতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC-র কোনও প্রতিনিধি। ২০১৩ সালে আইন সংশোধন হয়। এরপর বাদ পড়ে ইউজিসির প্রতিনিধি।সেই নতুন সার্চ কমিটিই নিয়োগ করেছিল সুহৃতা পালকে।‌