শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে (SSC Scam), এই দুর্নীতির কারণেই বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক হাজার জন৷ একথা বারবার বলেছেন তারা। কিন্তু তখন কর্ণপাত করেনি। এখন আদালতে প্রমাণিত হতেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিকরা। আগামী দিনে দুর্নীতির বহর আরও বাড়বে। তবু নিয়োগপত্র না পাওয়া অবধি আন্দোলন জারি থাকবে৷ এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৬০০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন হবু শিক্ষকরা।
এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে নিয়োগ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেবারেও সকলের নিয়োগ হয়নি। মুষ্টিমেয়দের নিয়োগ করা হলেও সেখানে হয় দুর্নীতির অঙ্কুরোদগম। চাকরি প্রার্থীরা বলেছিলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগ বেআইনি৷ সেটাই প্রমাণিত হয়েছে এখন৷ অন্যদিকে, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সমস্ত দুর্যোগ উপেক্ষা করেই আন্দোলন জারি রেখেছেন চাকরি প্রার্থীরা।
ছাত্র যুব অধিকার মঞ্চের আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, কখনও গেজেটের নিয়ম উপেক্ষা করে আবার কখনও নম্বর বাড়িয়ে কয়েক হাজার নিয়োগ হয়েছে। ইডির দেওয়া তথ্যেও সেটার প্রমাণ মিলেছে। এমনকি কমিশনের তরফে সংখ্যা কম দেখানো হলেও দুর্নীতির কথা উঠে আসছে। আগামী দিনে ওএমআর শিট মিলিয়ে দেখা হলেই পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে৷
এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বারবার জামিনের আবেদন জানানো হলেও তার হেফাজতের মেয়াদ বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে, জেল হেফাজতে রয়েছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ একাধিক ব্যক্তি৷ এদের প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে টিম তৈরি করেছিলেন পার্থ। যার ফলেই বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক হাজার জন৷ কিন্তু নিয়োগপত্র ছাড়া আন্দোলনের মঞ্চ থেকে এত সহজে উঠে যাবো না। ৬০০ দিনের আন্দোলন মঞ্চ থেকে স্লোগান চাকরি প্রার্থীদের৷