সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে চলল সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর নিজাম প্যালেস থেকে বের হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে কী কী প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নিজে মুখ না খুললেও শুরু বিস্তর জল্পনা।
সূত্রের খবর, এদিন সিবিআইয়ের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদে যে সমস্ত প্রশ্ন করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল, নিয়োগ তালিকায় পিছনে নাম থাকা সত্ত্বেও কী করে চাকরি দেওয়া হল? ২০১৯ সালে যে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার পিছনে কারণ কী ছিল? কমিটি যখন গঠন করা হয়েছিল তার প্ররিয়া কী ছিল?
একইসঙ্গে মেধাতালিকায় পিছনে থাকা চাকরি প্রার্থীদের কীভাবে চাকরী দেওয়া হল? কীভাবে যোগ্যদের বাইরে রাখা হল? শিক্ষামন্ত্রী পদে থাকাকালীন এবিষয়ে তিনি কি কিছু জানতেন না?
সিবিআই সূত্রে খবর, সমস্ত প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে গেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কখনও তিনি বলেছেন কার সুপারিশে চাকরি দিয়েছেন তা মনে পড়ছে না। আবার তাঁর কথায়, দুর্নীতি হয়নি সেটা তিনি জানিয়েছেন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্যের মন্ত্রী। কিন্তু সেই মামলায় নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেয়ে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেরার মুখোমুখি হন।