এসএসসি, টেট সহ শিক্ষক নিয়োগের সর্বক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার লেনদেনে (SSC Scam) অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতার একেবারে ঘনিষ্ঠ মহলে থাকা তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সাথী পার্থবাবু কালো টাকার পাহাড়ে বসে আছেন এমনই মনে করছে ইডি।
তবে তদন্তে উঠে আসছে, এসব ছাড়িয়ে একের পর এক লাস্যময়ী বান্ধবীদের সঙ্গে পার্থর সম্পর্ক শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠতা নয় বরং আরও বেশি। ইডি মনে করছে এই বান্ধবীরা যাবতীয় আর্থিক লেনদেন করতেন। তাদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা চলে যেত প্রাক্তন শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রীর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলিতে। সেগুলি বিভিন্ন পার্থ-বান্ধবীদের নামে কেনা হলেও আসলে এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রাক্তন তৃ়ণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
কতজন এমন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ? দিন যত যাচ্ছে তত বাড়ছে সংখ্যা। অভিযোগ, বিবাহিত, অবিবাহিত মিলিয়ে কমপক্ষে ১২ জন বিভিন্ন বয়সী বান্ধবীদের নিয়ে মধু-জাল বুনেছিলেন বর্ষীয়ান, বিরাট মেদবহুল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি মনে করছে শুধু অতি ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জি বা মোনালিসা দাস নয়, এখনও এমন কেউ আছে যার ক্ষমতা ছিল আরও বেশি।
কে সেই বান্ধবী? ইডি সন্দেহ করছে কলকাতারই এক বিশিষ্ট ব্যক্তির বান্ধবীও পার্থ মধু-জালের বিশেষ ক্ষমতাধর। তিনি আরও বেশি প্রভাবশালী। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তাঁর সঙ্গে বিজেপির সরাসরি যোগ রয়েছে। যদিও তিনি ফের বিজেপি ছেড়ে বিশিষ্ট বন্ধু সহ ফের তৃ়ণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছেন। তাঁর কথায় ওঠেন বসেন সেই বিশিষ্ট ব্যক্তি। আপাতত তারা দু’জন একসাথে থাকেন! এই মহিলা একদা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তৃণমূল কংগ্রেসের উঁচু তলায় সরাসরি সংযোগ তাঁর। আবার বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদেরও ঘনিষ্ঠ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তন্বী, ভরভরন্ত বান্ধবীদের সংখ্যা দেখে মনের আনন্দে একটি সংবাদ চ্যানেলে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বললেন ও লা়ভলি! তিনি যে পার্থর কাছে শিশু তাও স্বীকার করে নিয়েছেন।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বলেন মদন একটু কালারফুল! আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আরও এক সাথী মদন মিত্র বলছেন, আমার থেকে পার্থ এক বছরের বড় হবে। ওকে সেই কংগ্রেস করার সময় ছাত্র পরিষদ সংগঠন থেকেই চিনি। দুজনেই কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম।
বিধায়ক মদন মিত্রর দাবি, তিনি অনেক বান্ধবী পরিবৃত হয়ে থাকেন। সবই প্রকাশ্যে। এর মধ্যে কোনও লুকোছাপা নেই। তাঁর স্ত্রী সবই জানেন। ভবিষ্যতেও তিনি আরও বান্ধবী করতে চান। দাবি করেন, তবে কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে সংযোগ নেই।