SSC Scam: অভিষেকের বৈঠক থেকে কৌশলে বঞ্চিত করা হচ্ছে, বক্তব্য চাকরি প্রার্থীদের

নিয়োগ তালিকায় নাম থাকলেও দুর্নীতির কোপে চাকরি হারিয়েছেন বহু জন। দেখতে দেখতে তা ১০ বছর পার করেছে৷ বহুবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে নিয়োগ হবে৷…

নিয়োগ তালিকায় নাম থাকলেও দুর্নীতির কোপে চাকরি হারিয়েছেন বহু জন। দেখতে দেখতে তা ১০ বছর পার করেছে৷ বহুবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে নিয়োগ হবে৷ কিন্তু এখনও অবধি তা পুরণ হয়নি৷ শুধুমাত্র গুটিকয়েক চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ করে প্রতিশ্রুতি পুরণ করতে পারে না সরকার৷

২০১৬ এসএলএসটি স্কুল সার্ভিস কমিশনের নোটিফিকেশনে কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষায় উত্তীর্ণদেরও এতদিন ধরে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। বরং লাগামছাড়া বেআইনিভাবে গেজেটের নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হয়েছে, তার প্রতিবাদে ২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে বসেছিলেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ৷

সেবার চাকরি প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ওয়ান টাইম আইন বদল করে স্পেশাল গ্রাউন্ডের মাধ্যমে অনশনকারীদের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। ৯ টা কাউন্সিলেংয়ে সেবার বিরাট অংশকে চাকরি দেওয়া হলেও বঞ্চিতের সংখ্যা মোটেই কম ছিল না৷

২০২০ মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নবম থেকে দ্বাদশের মতো তাঁদেরকেও ওয়েটিং লিস্টে থেকে চাকরি দেওয়া হবে৷ এমনকি শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষাকে একসঙ্গে যুক্ত করার জন্যেও বলেছিলেন তিনি৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথা বাস্তবায়িত এখনও হল না। বরং এগিয়ে চলল চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন৷ শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে পর্ষদ ও কমিশনের তরফে।

চলতি বছরে ঈদের দিনে মুখ্যমন্ত্রী ডিসি সাউথ মারফত ফোনে কথা বলেন চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে। ৫ মে বিকাশভবনে বৈঠক হয় শিক্ষামন্ত্রীর ভবনে। এরপর শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা পদে ১৬০০ নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল৷ চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য পরে নোটিফিকেশনে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এর সঙ্গে সুকৌশলে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষাকে যোগ করে দেওয়া হয়। ফলে আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে। অথচ অন্যান্য নিয়োগে কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিলেও, শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা বিভাগে স্থগিতাদেশ দেয়নি৷

কেন অতিরিক্ত ১৬০০ পোস্টে এখনও নিয়োগ হচ্ছে না? কাউন্সেলিংয়ের নোটিশ দিয়ে দ্রুত নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা।