করোনার ভয়ে কুঁকড়ে ছিল দুনিয়া। মানুষ ছিল ঘরবন্দি। চলছিল লকডাউন। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তৃ়ণমূল কংগ্রেস আমলেই হয়েছে শিক্ষা দফতরের ভুয়ো নিয়োগের ছক। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।সিবিআই সূত্রে খবর, লকডাউন (Lockdown) পর্বেই বোনা হয়েছে দুর্নীতির জাল। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাক্তন আধিকারিকরা। লকডাউনে তৈরি হয়েছে ভুয়ো রেকমেন্ডশন লেটার।
- শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতি মামনায় জেলে আছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
- টেট দুর্নীতির তদন্তে জেলে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য
- পার্থ ও মানিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
সূত্রের খবর, মে-জুন মাস ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে ভুয়ো রেকমেন্ডেশন তৈরি হয়েছিল। সেই লেটারের ভিত্তিতেই অনেকে চাকরি পেয়েছেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসপি সিনহারাই এই দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে মনে করছে সিবিআই। গোটা দুর্নীতি প্রক্রিয়ার মাথা সুবীরেশ বলেই দাবি করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের তরফে নবম ও দশম শ্রেণীর নিয়োগ নিয়ে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ নেই। তবে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য, এমনকি অশোক কুমার সাহার নামের যোগ রয়েছে।
জানা গেছে, যে ওএমআর শিট স্ক্যান হয়েছে, সেটার তথ্য সিডি আকারে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছেই জমা হয়েছে। সেই সিডি এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে সিবিআই।শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা নয়, পার্সোনালিটি টেস্টেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। গোটা দুর্নীতি থেকে শিক্ষামন্ত্রী থাকার পরেও কীভাবে বাদ পড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।