SSC Scam: বঙ্গের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে ‘গাজিয়াবাদ’ লিঙ্কে চমকে যাচ্ছে সিবিআই

নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তদন্তে নেমে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বারবার উঠে আসছিল, তা হল সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি। সেই সাদা খাতার ওএমআর শিট গাজিয়াবাদ…

Ssc scam cbi investigation mystery hidden in ghaziabad

নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তদন্তে নেমে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বারবার উঠে আসছিল, তা হল সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি। সেই সাদা খাতার ওএমআর শিট গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করে কলকাতা হাইকোর্টে জমা করল (CBI) সিবিআই। যেখানে একটি প্রশ্নের উত্তর তো দূরে থাক, এমনকি পেনের কালি অবধি লাগেনি। তারা স্কুলে চাকরি পেয়েছেন।

নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি’র ওএমআর শিট তৈরি ও মূল্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার অফিসে হানা দিয়ে হার্ড ডিস্ক ও আসল ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই তদন্ত করতে নেমে যে সমস্ত নথি পেয়েছিল, সেই সমস্ত তথ্য হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়। সেখানে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তাতে চোখ কপালে ওঠার মতো।

সিবিআইয়ের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে এদের কারোর নম্বর ৫০, আবার কেউ পেয়েছেন ৫২, কিন্তু গাজিয়াবাদ থেকে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে তাতে সত্যিই আলোড়ন পড়ে গেছে। গোটা দুর্নীতির কারিগর কারা? তা জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই।

এর আগে দুর্নীতির পাহাড় দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। ৫ থেকে ৬ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ৫০ এর অধিক নম্বর দেওয়া হয়েছে৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী ছাড়াওআরও গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডিতেও একই জিনিস হয়েছে। তার পরেও নিয়োগ হয়েছে তাঁদের।

অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশের পরেই ফের বেআইনি নিয়োগ খুঁজতে বৈঠকে বসছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ১৮ অক্টোবরের বৈঠকে থাকবে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মামলাকারীরা। ভূয়ো নিয়োগের বিষয়ে খুঁজে বের করা হবে দ্রুত। অর্থাৎ, দ্রুত একাধিক কর্মরত শিক্ষক চাকরি হারাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।