তৃণমূলে নবজোয়ার শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই জোয়ারে উন্মাদনা বাড়াতে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অথচ এই জোয়ার থেকে পুরাতনরা ব্রাত্য! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহর ( Sonali Guha) বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়৷ অভিষেকের জন্মবৃত্তান্ত বললে আর কেউ ভোট দেবে না৷ জানালেন তিনি৷
সোনালীর কথায়, বলতে গেলে তো এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বলতে হয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতা সম্পর্কে কিছু বলার নেই৷ যত কম বলা যায় তত ভালো। অভিষেকের জন্মবৃত্তান্ত বলতে যাই, তাহলে অভিষেককে কেউ ভোট দেবে না৷ একটাই ব্যক্তিগত আক্রমণ করব মমতাদি হজম করতে পারবে না। তবে বিষয়টি ক্রমশ প্রকাশ্য রাখলেন তিনি৷
তিনি আরও বলেন, অভিষেককে আমরা বুকে করে জিতিয়েছি। নির্বাচনে লড়ে সাতগাছিয়া থেকে প্রচার শুরু করেছিল৷ পরে সাতগাছিয়াতে প্রচার শেষে বলেছিল সোনালী পিসি আশীর্বাদ করো আমি যেন জিততে পারি৷ সেদিন কেঁদে ফেলেছিলাম৷ আমি ওর মায়ের বয়সী৷ তখন সোমেন মিত্র জানিয়েছিল ওকে জিতিয়েও না। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। প্রথমবারের চেয়ে বেশী ভোটে জয়লাভ করেছিল। একসময় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সোনালীর বয়ান ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক মহলে।
একাধিকবার তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন সোনালী গুহ৷ কিন্তু ২০২১ সালে টিকিট দেয়নি দল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সুগার রয়েছে তার। অথচ সোনালী জানিয়েছেন, তিনি ফিট৷ কেঁদে আকুল ভাসিয়েছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, দিদি একবারও আমার সঙ্গে কথা বলেনি। পরে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি৷ এখন স্থির করেছেন তৃণমূলে দিদি ডাকলেও ফিরবেন না৷ আচমকা প্রাক্তন সহকর্মী কেন মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য করলেন? প্রশ্ন উঠছে৷