আক্রমণাত্মক অভিষেক, বললেন ‘মাথায় গুলি করতাম’

বিজেপির নবান্ন অভিযানে অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও একজন ওসি গুরুতর জখম হন। আহত পুলিশ কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক…

বিজেপির নবান্ন অভিযানে অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও একজন ওসি গুরুতর জখম হন। আহত পুলিশ কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন বিচারব্যবস্থার একাংশ মদত দিচ্ছে বিজেপির (BJP) গুণ্ডাদের।

আর পূর্ব মেদিনীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, চাইলেই পুলিশ গুলি চালাতে পারত। এর পর অভিষেক সরব হলেন বিচার ব্যবস্থা নিয়ে।

   

বিচারব্যবস্থার উদ্দেশ্যে অভিষেকের মন্তব্য, যারা আন্দোলনের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে, যারা ভাবছে বিজেপি করি বলে আমরা যা ইচ্ছা তাই করব, আর পার পেয়ে যাব। আমি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, হাইকোর্ট থাকতে, ন্যায় বিচার থাকতে, আইন থাকতে এই ঘটনা ঘটে কী করে। যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, হাইকোর্ট কি নির্দেশিকা দেবে তাঁদের বিরুদ্ধে সকলের নজর থাকবে। যাদের প্রত্যক্ষ মদতে এই ঘটনা ঘটেছে সকলের দৃষ্টি থাকবে।

অভিষেক বলেন, নবান্ন অভিযানের নাম করে যে হিংস্রতা, বর্বরতা, গূণ্ডামি, রাহাজানি নির্দশন বাংলার বুকে একটি রাজনৈতিক দল বাংলাবাসীর কাছে তুলে ধরেছে। এর আগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের যখন মুর্তি ভাঙা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের নামে গুণ্ডামি করা হয়েছে। গায়ের জোরে দুষ্কৃতিদের কাজে লাগিয়ে, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো এবং পুলিশকে লোহার রড দিয়ে মেরেছে।

জখম পুলিশকর্মীকে দেখে অভিষেক বলেন,আমি এখানে এসেছিলাম দেবজিৎ বাবুর সঙ্গে দেখা করতে। ওনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ওনার স্ত্রী ও দিদির সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনার বাঁ হাতে জোরালো আঘাত রয়েছে। হাত ভেঙে গেছে। সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন। পিঠ দেখা যাচ্ছে না। পুলিশের ওপর কীভাবে গায়ের জোরে গুণ্ডামি করা হয়েছে।