SFI: ওপারের দুর্গামণ্ডপে বর্বর হামলার প্রতিবাদে এপার বাংলার বাম ছাত্র সংগঠন

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা:  বাংলাদেশের নানা স্থানে দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। পূজা মন্ডপ, প্রতিমা ভাঙ্গচুর হয়েছে। এই বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে সাথে সাথে পথে নেমেছে…

Sfi on bangladesh issue

নিউজ ডেস্ক, কলকাতা:  বাংলাদেশের নানা স্থানে দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। পূজা মন্ডপ, প্রতিমা ভাঙ্গচুর হয়েছে। এই বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে সাথে সাথে পথে নেমেছে সেখানকার বামপন্থীরা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সহ বাম ছাত্র সংগঠনও এই লড়াইতে সামিল। হাসিনা সরকারও গ্রেপ্তার করছে আক্রমণকারীদের। হামলাকারীরা ‘সরকারি মদত’ পায়নি।

প্রতিবাদ জানাল রাজ্য এসএফআই। এই প্রসঙ্গে এসএফআই সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “এই দাঙ্গাবাজরা হলো সেই শক্তি যারা বাংলাদেশ স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের হয়ে ওপার বাংলার মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার নামিয়েছিল। এরা এখনো বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করতে উদ্যত। এই সময় আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার খর্বকারী সব ধরনের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতেই হবে। দরকার ঐক্যবদ্ধ লড়াই।”

   

বাংলাদেশে একাধিক দুর্গা মন্ডপে ঢুকে তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। পরের পর প্যান্ডেলে চলে দুষ্কৃতী তান্ডব। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সেদেশের হিন্দু কাউন্সিল। নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই।

কুমিল্লার নানুয়া দীঘিতে সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। সেখানে একটি দূর্গা পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। দেবী দুর্গার পাদদেশে পবিত্র কোরান রাখা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই হামলা চলে। জানা যায় প্রতিমাটি একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। কোরান রাখার খবর ছড়ায় হোয়াটসঅ্যাপ। উস্কানিমূলক মন্তব্য ও ছবি শেয়ার হতে থাকে। এরপরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। এদিকে পুলিশ আসার আগেই প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এই গোটা ঘটনার ছবি শেয়ার করে বাংলাদেশ হিন্দু ইউনিটি কাউন্সিল। তারা টুইট করে গোটা ঘটনা জানায়।

ছবি শেয়ার করে হিন্দু কাউন্সিল জানায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন। গত ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটেছে তা আমরা টুইটে প্রকাশ করতে পারি না। বাংলাদেশের হিন্দুরা কিছু মানুষের আসল চেহারা দেখেছে। ভবিষ্যতে কী হবে তা আমরা জানি না কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা ২০২১ সালের দুর্গাপূজা ভুলবে না।