স্কুল খোলার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ SFI

এবার স্কুল খোলার দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল এসএফআই (SFI)। সেইসঙ্গে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা। এসএফআই-এর এই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আর এই নিয়ে…

এবার স্কুল খোলার দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল এসএফআই (SFI)। সেইসঙ্গে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা। এসএফআই-এর এই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আর এই নিয়ে স্কুল খোলার দাবিতে মোট ৪টি পৃথক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলো হাইকোর্টে।

স্কুল খোলা নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুল , কলেজ না খুললে ছাত্র ছাত্রীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। দূরত্ব বজায় রেখে করোনা বিধি মেনে চালু হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।’ এর পাশাপাশি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, ‘আমরা স্কুল খোলায় উৎসাহী। অনলাইনে আর ফিজিক্যাল ভাবে স্কুলে যাওয়া ভিন্ন এটা একমত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সকলের কথা সরকারের ভাবতে হবে। রাজ্যে ৩৩৯৯১৯৭জন ছাত্রছাত্রীদের প্রথম টিকা দেওয়া শেষ।’ তিনি আরও বলেন, ৯৮% কালিম্পঙে এ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সরকারি স্কুলে দেওয়া হচ্ছে।

তারমধ্যে ওমিক্রানের প্রভাব পড়েছে। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক করেছে ওমিক্রন ও ডেল্টা নিয়ে। ১৫ বছরের নিচে টিকা দেওয়া হয় নি। সেটা মাথায় রাখতে হবে।’ অতিমারি আবহে রাজ্যে বন্ধ স্কুল-কলেজ। মাঝে কয়েক দিন স্কুল খোলা হলেও আবার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ নবান্নের তরফে৷ এভাবে দিনের পর দিন পাঠালয় বন্ধ রাখার ফলে ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার। এই অভিযোগও উঠেছে বহুবার। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি সরকার। বাড়িতে থেকেই অনলাইনে পড়াশুনা চলছে। এমনকি তৃণমূল অন্দরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অনেকে।

এদিকে বেশিরভাগ সমীক্ষা বলছে, বারবার এসবের জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ড্রপ আউটের আশঙ্কা। আর এই নিয়ে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন অভিভাভাবকরা। করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পরপরই ২০২০ সালের মার্চ মাসে যখন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন বাকি জনজীবনের মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল শিক্ষা ব্যবস্থাও। স্কুল, কলেজগুলির গেটে তালা পড়ে গিয়েছিল পড়ুয়াদের জন্য। মাঝে কয়েক বার জন্য স্কুল খোলার চেষ্টা করা হলেও তা বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।