২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে শিয়ালদহ(Sealdah) ডিভিশনে ১৭৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলির জন্য আগামী ১০০ ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকবে, যা যাত্রীদের জন্য একটি বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে। এই ধরনের দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার ঘটনা পূর্বেও কম ঘটেনি, তবে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য এমন পরিস্থিতি বিরল। শিয়ালদহ(Sealdah)ডিভিশন কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ, এবং এখানে যাত্রী সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেশি। এই ট্রেন বাতিল হওয়ার ফলে দৈনন্দিন যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থা এবং সময়সূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির তালিকা
শিয়ালদহ(Sealdah)ডিভিশনে ১৭৬টি লোকাল ট্রেনের বাতিল হওয়ার খবরটি বেশ চাঞ্চল্যকর। এই ট্রেনগুলির মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুটের ট্রেন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। এই বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে সেকেন্ড ক্লাস, পাওয়ারফুল ইম্পালস ট্রেন এবং বিভিন্ন স্টপেজের সাথে চলাচলকারী ট্রেন রয়েছে। ফলে লোকাল যাত্রীদের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যাদের কর্মস্থলে বা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ধরতে হয়।
কারণ ও প্রভাব
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ট্রেন বাতিলের কারণটি কিছু জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ এবং ডাউনগ্রেড প্রকল্পের আওতায় কিছু বড় পরিবর্তন। রেললাইন পরিবর্তন, সিগন্যাল সিস্টেমের উন্নয়ন, এবং নতুন ইঞ্জিন চালনা সংক্রান্ত কাজের জন্য এই ট্রেনগুলি বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছে, তবে যাত্রীদের জন্য এটি একটি বিরাট দুর্ভোগের কারণ। বিশেষ করে অফিসগামী, ছাত্রছাত্রী এবং প্রবীণ যাত্রীদের জন্য এই ট্রেন বাতিলের ফলে সময়ের অপচয় এবং চাপ সৃষ্টি হবে।
বিকল্প ব্যবস্থা
রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার জন্য কিছু বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছে। কিছু ট্রেনের বিকল্প পথ খোঁজা হয়েছে এবং কিছু বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, যাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, এই বিকল্প ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। তাদের মতে, রেল কর্তৃপক্ষ যদি আরও বিকল্প ব্যবস্থা চালু করত, তবে যাত্রীদের এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারত।
শেষ কথা
শিয়ালদহ(Sealdah)ডিভিশনে ১৭৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল হওয়া এবং ১০০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার ফলে যাত্রীদের যে সমস্যা সৃষ্টি হবে, তা এক বড় সামাজিক এবং পরিবহন সংকটের চেহারা নিতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশা করছে, এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ভবিষ্যতে আরও উন্নত এবং দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করা সম্ভব হবে। তবে, এই সময়ে যাত্রীদের সহযোগিতা এবং সহানুভূতির প্রয়োজন, যাতে তারা এই অস্থায়ী সমস্যার মোকাবিলা করতে পারেন।