আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে দিকে দিকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। এদিকে এহেন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বড় পদক্ষেপ নিলেন শিল্পী সনাতন দিন্ডা (Sanatan Dinda)। তিনি রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ ছাড়লেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজেই সেই কথা ফেসবুকে জানালেন শিল্পী। তিনি লেখেন, তিনি লেখেন, ‘আমি সনাতন দিন্ডা । পিতা স্বর্গত শ্রী রতি কান্ত দিন্ডা , মাতা স্বর্গত শ্রীমতি পারুল দিন্ডা , বোন নিহত ‘ তিলোত্তমা’দিন্ডা । আদি নীবাস ‘কুমারটুলী’ আর. জি. কর হাসপাতাল সংলগ্ন প.ব।দীর্ঘ দিন ‘রাজ্য চারু কলা পর্ষদের ‘কার্যকারী সদস্য ছিলাম । দীর্ঘ অনুপস্থিত এবং আমার কোনো ভূমিকা সেখানে ছিল না । তার পরও এখানকার সদস্য পদ থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম।’
একজন আবার লিখেছেন, ‘আমার একটা প্রশ্ন আছে। রাজ্য চারুকলা পর্ষদ তো কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য পদ নয়। এটা তো সরকারী ব্যাপার। আজ একটা দুর্নীতিগ্রস্থ দল সরকারী ক্ষমতায় আছে মানে তো এই নয় যে দল = সরকার। কাল তারা ক্ষমতায় নাও থাকতে পারে। কিন্তু চারুকলা পর্ষদ তো থাকবে। যে সব সদস্যরা শিল্পী হিসেবে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতায় ওই জায়গায় আছেন , দলগত কারণে নয় তাঁরা যদি সরে যান তাহলে দুর্নীতিবাজদের পথ আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারা আরো কিছু নিজেদের লোককে ঢুকিয়ে আরো বেশী অগণতান্ত্রিক কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবে। সরকারী হাসপাতালের সব ডাক্তার যেমন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ধামাধারি নন, চারুকলা পর্ষদে সব সদস্যও তো বিনা যোগ্যতায় সদস্যপদ পান নি। তাঁরা সরকারি একটি সংস্থার মেম্বার মানেই বাই ডিফল্ট বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সব রকম অনৈতিক কাজের সমর্থক এটা তো নয়। বুঝলাম এটা একধরনের প্রতিবাদ। কিন্তু ঠিক লোকেরা নিজেই সরে গেলে তো যাদের বিরুদ্ধে লড়াই তাদেরই সুবিধে হয়ে যাবে। আমি শুধু চারুকলা নয়, সব সরকারী সংস্থার কথা ভেবেই বলছি । তুমি কি বলো Sanatan Dinda।’
এই কমেন্টের উত্তর দিয়েছেন শিল্পী। তিনি পাল্টা লেখেন, ভাই , ‘এই পর্ষদে অনেক গন্য মান্য প্রোথিত যশা শিল্পী আছেন যাঁদের এই ‘ তিলোত্তমা’র প্রতি বর্বরোচিত নৃশংস খুনের কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেখলাম না । তাঁদের এই দুসময়ে উদাসীন , নীরব থাকাটাও আমার চেতনার আঘাত করছে ….. আমি খুব সাধারন সহনাগরিক , সচেতন শিল্পী হয়ে ওনাদের সাথে নাই বা থাকলাম । তাছাড়া আমি দীর্ঘ কাল অনিয়মিত সদস্য । তবে এটা একটা ব কলমে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত কোনো মতেই নয় । এখানে যে কোনো প্রোগাম অনুষ্ঠিত হলে সব বিজ্ঞাপনে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্ররনায় সেটা উল্ল্যেখ থাকে । তো কি করে বলা যায় এটা স্বশাসিত পরিষদ? কার্যকরী কমিটির যা কিছু অনুমোদন , সবটাতেই সরকারী শীলমোহর পরে । বাকী যা কিছু এখানে না লেখাই শ্রেয় …. আমি এই মুহুর্ত আমাদের এই সেখা লেখি করে ‘তিলোত্তমা’ হত্যার সুবিচারের আন্দোলনের গতিমুখ পরিবর্তন করতে দেবো না ।’