বর্ধমান থেকে ফিরে মমতা বললেন পুরো মরেই যেতাম ওখানে

বর্ধমান থেকে ফেরার পথে কীভাবে চোটল লাগল রাজভবনে বৈঠকের পর তা বিস্তারিত ভাবে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন পুরো মরেই যেতাম ওখানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা এদিন বর্ধমানে…

বর্ধমান থেকে ফেরার পথে কীভাবে চোটল লাগল রাজভবনে বৈঠকের পর তা বিস্তারিত ভাবে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন পুরো মরেই যেতাম ওখানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা এদিন বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করেন। বর্ধমানের গোদা এলাকা থেকে ফেরার পথে তাঁর গাড়ির চালক আচমকা ব্রেক কষেন। মমতার মাথায় ধাক্কা লাগে। তিনি কলকাতায় ফিরে বলেন জায়গাটা ফুলে আছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চালক আচমকা জোরে ব্রেক কষেন। মুখ্যমন্ত্রীর কপাল উইন্ড স্ক্রিনে ঠুকে যায়। তবে খুব জোরে আঘাত লাগেনি। মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়া খবর শুনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে ফোন করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান। পরে মমতা বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফিরে সরাসরি রাজভবনে চলে যান। রাজ্যপালের সাথে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আঘাত বিষয়ে যা বলেছেন তাতে প্রশাসনিক মহলে উদ্বেগ ছড়াল।

তিনি রাজভবন থেকে বেরিয়ে জানান,আমারও মনে হচ্ছে একটু জ্বর এসেছে। গা গুলোচ্ছে। ফুলেও আছে। আমরা বেরোচ্ছিলাম। একটা কোনও গাড়ি দুশো স্পিডে যাচ্ছিল। যেতে যেতে আমাকে গাড়িটা প্রায় ড্যাশই করে দিত। মরেই যেতাম ওখানে। আমার গাড়ির চালক সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে। তখন ড্যাশবোর্ডটা মাথায় লাগে।

বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী। একুশের বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে প্রচারের সময় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। এরপর আর একবার তিনি আঘাত পান জলপাইগুড়িতে। সেবার দুর্যোগের কারণে দ্রুত ফোরার সময় বৈকুণ্ঠপুর হয়ে কপ্টারে আসেন তিনি। কপ্টার ল্যান্ডিং করার সময় লাফ দিয়ে নেমে পায়ে চোট পান। মাঝে একবার তাঁর কাঁধে জরুরি অপারেশন হয়। এবার বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর বর্ধমানে অনুষ্ঠান গোদা এলাকার মাঠ থেকে ফেরার পথে গাড়ির ঝাঁকুনিতে কপালে চোট পেলেন তিনি।