২৬৯ জনের চাকরি ফেরানো অনৈতিক: বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

কর্মরত ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের মামলা স্থগিতাদেশের মাঝেই তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিল প্রাথমিক…

২৬৯ জনের চাকরি ফেরানো অনৈতিক: বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

কর্মরত ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের মামলা স্থগিতাদেশের মাঝেই তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এটি চুড়ান্ত অনৈতিক বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

এবিষয়ে সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদের বক্তব্য, পর্ষদ নিজে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, ২৬৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে যেহেতু তারা আন্দোলন করছিল৷ সেই বিষয় অনুযায়ী কলকাতা হাই কোর্ট তদের চাকরি বাতিল করে দেয়৷ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আপাতত স্থগিতাদেশ রইল। কিন্তু তাদের ব্যাখা করতে হবে কীভাবে চাকরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এরপর কলকাতা হাইকোর্ট সুযোগ দিয়েছে যারা চাকরি খুইয়েছেন তারা হলফনামা জমা দিতে পারবে৷ এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যদি এই রায় দিয়ে থাকে, এর থেকে চূড়ান্ত অনিয়ম কিছু হতে পারে না। আসলে এতে দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়া হচ্ছে। তার মানে এটা পরিষ্কার তৃণমূল এদের প্রত্যেককে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে এবং তাদের জন্য আপ্রাণ লড়াই করে যাবে।

Advertisements

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বরখাস্ত করা হয়েছিল ওই ২৬৯ জনকে। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় তাঁদের। পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় সেই মামলা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। যদিও এর মধ্যে সন্দীপ মুখ্যোপাধ্যায় নামে একজনকে চাকরি আগেই ফেরানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ২৬৯ জনকে পার্টি করা হয়েছিল। যাদের সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল পর্ষদ।