নিপা সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি’তে চিকিৎসাধীন কেরল ফেরত পূর্ব বর্ধমানের এক যুবক। জ্বরের পাশাপাশি রয়েছে শ্বাসকষ্ট বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতি মিনিটে ২-৪ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। যুবকের বিপদ এখনও কাটেনি। সেই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে পুণের এনআইভি-তে পাঠানো হয় গতকাল। শুকনো বরফ-সহ ত্রিস্তরীয় সুরক্ষায় এই নমুনা পাঠানো হয়। তবে অবশেষে স্বস্তি। রিপোর্ট অনুযায়ী ওই যুবক নেগেটিভ। স্বাভাভিকভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তারা।
এনআইভি’র নির্দেশিকা মেনেই ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া অর্থাৎ ভিটিএম বক্সে চার ধরনের নমুনা পাঠানো হয়। নাক, গলার রসের পাশাপাশি মূত্র ও রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। এনআইভি পুণের রিপোর্টের অপেক্ষা করছিল স্বাস্থ্য ভবন। পুণে থেকে পাঠানো রিপোর্টে তিনি নিপা নেগেটিভ। স্বস্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তারা এবং চিকিৎসকরা।
পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক এই যুবক পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা, কর্মসূত্রে কেরলে থাকেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে তিনি অজানা জ্বরে আক্রান্ত। দেখাতে যান ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কেরলে বর্তমানে নিপা আক্রান্তের সংখ্যা ৬। তাঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেরল থেকে ফেরার পর এই যুবকও নিপা আক্রান্ত কিনা, সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন স্বাস্থ্য কর্তারা। রিপোর্ট পজিটিভ হলে কেরল থেকে নিপা কলকাতায় চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে সব চিন্তার অবসান! নিপা নেগেটিভ!