Rainfall: বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত, কলকাতা সহ জেলায় জেলায় ব্যাপক দুর্যোগের আশঙ্কা

দফায় দফায় বৃষ্টি (Rainfall)-তে ভিজতে শুরু করেছে শহর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলা। তাপমাত্রাও এক ধাক্কায় বেশ অনেকটাই নেমে…

দফায় দফায় বৃষ্টি (Rainfall)-তে ভিজতে শুরু করেছে শহর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলা। তাপমাত্রাও এক ধাক্কায় বেশ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার দরুণ বাংলার আবহাওয়ার আমূল বদল ঘটে গিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টির দেখা না মিললেও মাঝরাতের দিকে আচমকাই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে সব জায়গায়। নতুন করে বৃষ্টি হওয়ার দরুণ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে অবধি।

আজও কি স্বস্তির ঝড়-বৃষ্টি হবে বাংলায়? এই বিষয়ে এবার বুলেটিন জারি করে বড় বার্তা দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই বুলেটিন অনুসারে, আজ বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই মোটের ওপর বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় ও বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে দোসর হবে ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে আজ হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ সহ একদিকে যখন বৃষ্টি হবে তখন পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে অবধি ঝড়ও বয়ে যাবে বৈকি।

   

আইএমডি পূর্বাভাস দিয়েছে যে ১০ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্রতা অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী। ৩০ এপ্রিল কলকাতায় ৫০ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়, তবে গত দুদিনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া সব গরমকে বাইরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে। জানলে অবাক হবেন, বিপুল বজ্রপাতের কারণে সোমবার তিন হাজারের বেশি বিমানের দেরি হয়ে যায়। আসা এবং যাওয়া, উভয় ফ্লাইট পরিষেবা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।