মমতার বুদ্ধিতেই কাটল আলুর আকাল? ধর্মঘট তুলে নেওয়ায় কমতে পারে দামও!

আলুর আকালে পড়ল লাগাম (Potato crisis)। বুধবার রাত থেকেই আবার স্বাভাবিক হতে চলেছে আলুর জোগান (Potato crisis)। মমতার কড়া নির্দেশে আপাতত ধর্মঘটের বিরতিতেই স্বাভাবিক ছন্দে…

Image of Mamata Banerjee addressing the potato crisis with concern.

আলুর আকালে পড়ল লাগাম (Potato crisis)। বুধবার রাত থেকেই আবার স্বাভাবিক হতে চলেছে আলুর জোগান (Potato crisis)। মমতার কড়া নির্দেশে আপাতত ধর্মঘটের বিরতিতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে আলুর সাপ্লাই চেইন (Potato crisis)। যার ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে আলুর যোগান বাড়ার পাশাপাশি দাম কমারও প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে (Potato crisis)।

 

   

বরাবরই ভিনরাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপরে জারি করেছিলেন নিষেধাজ্ঞা। এবার পুজোর আগেই দাম ক্রমশ বাড়তে থাকায় আবারও আলুর দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। কিন্তু ভিন রাজ্যে রপ্তানি বন্ধ নিয়ে নিয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেই দাবি আলু ব্যবসায়ীদের। তা সত্ত্বেও সীমান্তে একের পর এক আলু বোঝাই ট্রাক আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তারই প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু হয় আলু ব্যবসায়ী এবং কোল্ড স্টোরেজ সংগঠনগুলির।

 

যার প্রভাব সরাসরি পড়তে শুরু করে বাজারে। খুচরো বাজারে একদিকে আলুর জোগান তলানিতে, অন্যদিকে হঠাৎ করে যোগান কমে যাওয়ায় আকাশছোঁয়া দাম। বাঙালির ভাত-পাত থেকে যেন আলু উধাও হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বাঙালির ঘরে ঘরে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।

Mamata Banerjee: ফিরল রেড রোডের দুর্ঘটনার স্মৃতি! সময়ের হেরফেরে বড় বিপদ এড়ালেন মমতা

মঙ্গলবার বিধানসভা তেই নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। সেখানেই কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা, অপরদিকে রপ্তানির দাবি মেনে নেওয়া। পরস্পর বিরোধী অবস্থানে সমাধান সূত্র খুঁজতে রীতিমত নাজেহাল দশা কৃষি আধিকারিকদের। সূত্র মারফৎ খবর, সমাধান সূত্র বাতলে দিয়েছিলেন খোদ মমতাই।

 

মুখ্যমন্ত্রীর সাজেশন ছিল, যতদিন আলুর দাম না কমছে, আপাতত তত দিনের জন্য রপ্তানি বন্ধ থাকুক। সূত্রের খবর, এই পন্থাকে সামনে রেখেই আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বেচারাম। সেই পথেই আপাতত মিলেছে সমাধান।

 

তবে আলু ব্যবসায়ীরা বরাবর অন্য দাবি করেছেন। তাদের বক্তব্য তারা যে আলু রপ্তানি করেন পশ্চিমবঙ্গের বাজারে তা বিক্রি হয় না। ফলে সীমান্তে গাড়ি আটকে দিয়ে খামোখা তাদের আর্থিক লোকসানের বোঝা বাড়ানো হচ্ছে। রপ্তানি বন্ধ করাটা দাম কমানোর উপায় হতে পারে না বলেই তাদের দাবি। তাদের দাবি স্টোরেজ থেকে যে দামে আলু বেরোচ্ছে, তা বিভিন্ন মজুতদারদের হাত মারফত ঘুরে বেশি দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর জন্য হিমঘরের কোন দোষ নেই।

“স্পিকার বোলতা হ্যায় তো…”! সংসদে অভিষেকের পরপর বাউন্সারে দিশাহারা খোদ স্পিকারই?

তবে আপাতত তাদের এই ধর্মঘট প্রত্যাহার, সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেরই স্বস্তির কারণ। বঙ্গ জীবনে রান্নার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আলুর আকাল নিয়ে নাজেহাল ছিল প্রায় সবাই। আপাতত পাতে আলুর জোগানের বাধা সরে যাওয়ায় খুশি বঙ্গের আমজনতা ।