JU: পিএইচডি কেলেঙ্কারি অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভর্তি স্থগিত

রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার আরেক সঙ্কট।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্কটে PHD গবেষকদের ভবিষ্যৎ। তালিকা প্রকাশের পরও যাদবপুরে আটকে গেল PHD তে ভর্তি। এতদিন যাবৎ…

Jadavpur University

রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার আরেক সঙ্কট।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্কটে PHD গবেষকদের ভবিষ্যৎ। তালিকা প্রকাশের পরও যাদবপুরে আটকে গেল PHD তে ভর্তি। এতদিন যাবৎ PHD তে ভর্তির ক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে(Jadavpur University) কোনও নিয়মই মানা হয়নি। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।

ঠিক এই কারণেই PHD তে ভর্তির থেকে নিয়োগের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। পেন্ডুলামের মত দুলছে বহু গবেষকদের ভবিষ্যৎ। ভিসি দাবি করেছেন, এই নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু তা নিয়েও জটিলতা। কারণ কর্মসমিতির বৈঠক নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাজ্য সরকারের।

   

তবে এই PHD ভর্তির ক্ষেত্রে রয়েছে একাধিক জটিলতা। UGC-র নিয়ম অনুযায়ী, পিএইচডি ভর্তির তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডক্টরল কমিটি অর্থাৎ PHD অ্যাডমিশন কমিটি। ইউজিসির নিয়ম, এক জন প্রফেসরের অধীনে ৮ জনের বেশি গবেষণা করতে পারবেন না। কিন্তু গত কয়েক বছরে JU-র ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, গবেষকের সংখ্যা উদ্বৃত্ত হলে সুপার নিউমেরিক পোস্টে তাঁদেরকে নিয়ে নেওয়া হত।

এরই মধ্যে কিছু দিন আগে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ডক্টরল কমিটির মিটিংয়ে যোগ দেন। তিনি কমিটির বিপরীত সিদ্ধান্তের কথা বলেন। তারপরও অ্যাডমিশন কমিটি PHD ভর্তির তালিকাকে অনুমোদন করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গবেষকদের নামের তালিকা বের করা হয়। সেখান থেকেই সমস্যার বীজ রোপণ হয়। নজরে আসে কলা বিভাগের কর্তৃপক্ষ এই বিজ্ঞপ্তিকে প্রত্যাহার করে। স্থাগিত করে দেন তালিকা। এখানেই আবার সম্মতি থাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। শুরু হয় উপাচার্য বনাম ডক্টরল কমিটির টানাপোড়েন।

ভিসি এরপর দাবি করেন, কর্মসমিতির বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সেখানেও রয়েছে সমস্যা। কারণ কর্মসমিতির বৈঠক করার এক্তিয়ার নেই রাজ্যপাল নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের। শিক্ষাদফতর এই বিষয়ে আগেই রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছে। সব মিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে PHD গবেষকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “অ্যাডমিশন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে গিয়েছে। জুন মাস থেকে হওয়ার কথা ছিল। আগের প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে করেনি। এখন বেনিয়ম দেখা যাচ্ছে। UGC গাইডলাইন মানা হয়নি। ডক্টরল কমিটিতে যাঁরা ছিলেন, আমি ভেবেছিলাম, সবাই নিয়ম মেনে কাজ করবেন। কিন্তু তাঁরা যে UGC-র গাইডলাইন মানাছেন না, তা তো ভাবতেই পারিনি। সুপার নিউমেরিক করতে গিয়েছে। সেটা করতে গিয়ে ছাত্রদের ভর্তিটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। এইভাবে করতে গেলে ছাত্রদের ভর্তির অনুমোদনটাই বাতিল হয়ে যাবে।”