Local Train: সপ্তাহের প্রথম দিনেই শিয়ালদহ লাইনে হুড়োহুড়ি, চরম হয়রানির শিকার যাত্রীরা

সপ্তাহের প্রথম দিনে ব্যাপক হুড়োহুড়ি পড়ে গেল শিয়ালদহ মেন লাইনে। সোমবার সকাল থেকে ট্রেনগুলো (Local Train) ক্রমাগত বৈধ সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পরে তার যাত্রাপথের…

সপ্তাহের প্রথম দিনে ব্যাপক হুড়োহুড়ি পড়ে গেল শিয়ালদহ মেন লাইনে। সোমবার সকাল থেকে ট্রেনগুলো (Local Train) ক্রমাগত বৈধ সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পরে তার যাত্রাপথের দিকে যাত্রা শুরু করে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে নিত্য যাত্রীদের মধ্যে।

সোমবার শিয়ালদহ মেন শাখায় এমন ঘটনা নিয়ে আপাতত রেলের তরফে কিছু জানা যায়নি। তবে অনেকেই মনে করছেন দমদমের ইন্টারলকিং এর কাজের জন্য এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। প্রসঙ্গত গত ১৬ মার্চ মধ্যরাত থেকে ১৮ মার্চ ভোর রাত অবধি এই কাজ চলার কথা ছিল।  সেই কাজ কি তবে আরও দীর্ঘায়িত হল? সেই কথাই মনে করছে যাত্রীদের একাংশ! সকাল ৯.১০ এর নৈহাটি-শিয়ালদহ নৈহাটি থেকে ছেড়েছে ৯.৫৫ মিনিটে অপর দিকে ১০.৪৭ এর নৈহাটি শিয়ালদহ নৈহাটি ছেড়েছে ১১.৪০ মিনিটে। সকাল ৮.৫৫ গেঁদে শিয়ালদহ গ্যালোপিন শিয়ালদহ ঢুকেছে ১০.১৪ মিনিটে। ১০.৩৫ মিনিটের কল্যাণী শিয়ালদহ গ্যালোপিন লোকাল প্রায় পঞ্চাশ মিনিট দেরিতে চলছে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং কিছু ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

একটি শপিং মলের কর্মী পার্থ ঘোঘের কথায়,”আজ দেরী হওয়ার জন্য আমার মাইনে কাটা যাবে। রেল কি সেইসব কথা বুঝবে?” অন্যদিকে কলেজের শিক্ষিকা রিমঝিম দেব বললেন, ” আমার প্রথম ক্লাসটা মিস হয়ে গেল। প্রতিদিন ট্রেন লেট থাকছে। এই নিয়ে তিনদিন এমন হলো।” সরকারী সংস্থার কর্মী প্রণয় দাস বললেন, ” মেন লাইনটা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যেমন ইচ্ছে ট্রেন চলছে। কেউ কিছুর বলার নেই।”  একটি কাপড়ের দোকানের কর্মী, শেখ মামুদ বললেন, ” আমাদের মতো সাধারণের কথা রেল কখনো ভাবে না। প্রতিদিন ট্রেন লেট থাকে। এইভাবে আর কতদিন চলবে?”

বিশেষত সপ্তাহের প্রথম দিন এহেন ঘটনার জন্য অনেকেই সমস্যার মুখে পড়েছেন। কেন রেল কোনও নোটিফিকেশন দিয়ে আগে থেকে যাত্রীদের সতর্ক করেনি এমনও অভিযোগ করেছে অনেকে। তবে আপ লাইনে ট্রেন খুব একটা দেরীতে চলছে না বলে জানা গিয়েছে। সমস্যা শুধু ডাউন লাইনে। অন্যদিকে বনগাঁ শিয়ালদহ লাইনেও ট্রেন দেরীতে চলছে বলে জানা গিয়েছে। ডানকুনি লাইনের ট্রেনও নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরীতে চলছে বলে জানা গিয়েছে।

কলেজ ছাত্রী পামেল বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ” আজ ভাগ্যিস কোনও পরীক্ষা নেই। নয়ত সেটা আর দিতে যাওয়া হতো না।” উল্লেখ্য গতকাল এবং পরশু সরকারী চাকরির পরীক্ষা ছিল। গত দুদিন প্রায় ১৪৩ টি ট্রেন বাতিল থাকার জন্য অনেক পরীক্ষার্থী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল সোমবার। ভারতীয় রেলের দুর্দশার ছবি আবার প্রকাশ্যে উঠে এলো।