Delhi: ধৃত পাক জঙ্গি আশরাফের টার্গেট দিল্লি পুলিশ কার্যালয়, জম্মুতে বিস্ফোরণ ঘটায়

নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ধৃত জঙ্গি (Terrorist) আশরাফের স্বীকারোক্তি ২০০৯ সালে জম্মুর বাসস্ট্যান্ডে বিস্ফোরণে জড়িত পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সোমবার আশরাফকে পূর্ব দিল্লির লক্ষ্মীনগর থেকে গ্রেফতার…

Pakistani terrorist arrested in delhi

নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ধৃত জঙ্গি (Terrorist) আশরাফের স্বীকারোক্তি ২০০৯ সালে জম্মুর বাসস্ট্যান্ডে বিস্ফোরণে জড়িত পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সোমবার আশরাফকে পূর্ব দিল্লির লক্ষ্মীনগর থেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।

দিল্লি পুলিশের দাবি, জেরায় আশরফ স্বীকার করেছ শুধু জম্মু নয় ২০১১ সালের দিল্লি হাই কোর্টের বাইরে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় তাতেও সে জড়িত। ঘটনাস্থল দেখে সবকিছু ঠিক করেছিল আশরাফ। দিল্লি পুলিশের প্রধান কার্যালয়েবিস্ফোরণের ছক করেছিল এই জঙ্গি।

সোমবার ডিসিপি স্পোশাল সেল প্রমোদ কুশওয়ার চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। তিনি জানান জঙ্গি আশরাফকে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়ি হয়ে দিল্লিতে পাঠায় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। আশরাফ শিলিগুড়ি থেকে দিল্লি আসে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল রাজধানীজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এই তল্লাশি অভিযানে সোমবার রাতে দিল্লির রমেশ পার্ক ও লক্ষ্মীনগর এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজন পাক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে রমেশ পার্ক এলাকা থেকে ধৃত মহম্মদ আশরাফের জন্ম পাকিস্তানে। ভুয়ো পরিচয় পত্র নিয়ে সে দিল্লিতে বাস করছিল। লক্ষ্মীনগর এলাকা থেকে ওমরউদ্দিন নামে আরও একজনকে ধরা হয়েছে। ওমরের কাছ থেকেও পাকিস্তানের পরিচয় পত্র মিলেছে। ধৃতদের কাছ থেকে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, পিস্তল ও ৬০ রাউন্ড গুলি মিলেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ আশরাফ আদতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। সে কবে ভারতে ঢুকেছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। আশরফ আইএসআইয়ের মত পাক গুপ্তচর সংস্থার কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধু তাই নয় আশরফের বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণও আছে। পুলিশের অনুমান, রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আশরফকে ভারতে পাঠানো হয়েছিল। ধৃত দুই জঙ্গি কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করল তা জানার চেষ্টা চলছে।

সম্প্রতি আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর ভারতে জঙ্গি হামলার প্রবণতা বেশ কিছুটা বেড়েছে। বিশেষত কাশ্মীরে। এরই মধ্যে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের যেকোনও জায়গাতেই নাশকতা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছিল। কার্যত গোয়েন্দাদের সেই সতর্কবার্তাই মিলে গেল সোমবার রাতের ঘটনায়। গোয়েন্দা সতর্কবার্তার কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিরাপত্তাবাহিনীকে গোটা দেশজুড়ে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।