🅱🅸🅶 🅽🅴🆆🆂: মুম্বই-ইউপি-দিল্লিতে নাশকতার ছক বানচাল, গ্রেফতার পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গি

নিউজ ডেস্ক: দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল (Delhi Police Special Cel) পাকিস্তান পরিচালিত জঙ্গি মডিউলকে চক্রান্ত তছনছ করে দিল৷ দিল্লি পুলিশ ৬ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার…

Pakistan terror

নিউজ ডেস্ক: দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল (Delhi Police Special Cel) পাকিস্তান পরিচালিত জঙ্গি মডিউলকে চক্রান্ত তছনছ করে দিল৷ দিল্লি পুলিশ ৬ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছে৷ তারমধ্যে দু’জন পাকিস্তানি জঙ্গি রয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই দুই জঙ্গি পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিল। এই সন্দেহভাজনদের উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে।

স্পেশাল সেলের অভিযানে কর্তৃক গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গির নাম ওসামা এবং জিশান বাই। তথ্য অনুযায়ী, ধৃত জঙ্গিদের আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ এটিএসের সহযোগিতায় প্রয়াগরাজে অভিযান চালানো হয়। স্পেশাল সেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রয়াগরাজের কারেলি থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজত থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের খবর রয়েছে।

   

পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃত জঙ্গিদের মডিউলটি আইএসআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বড় বড় শহরে বিস্ফোরণ এবং জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র করছিল। এই ষড়যন্ত্র চালানোর জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করা হয়েছিল। গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গির ‘ ডি কোম্পানি’র সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

আরও বলা হচ্ছে, এই মডিউল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে। অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, তাদের নেটওয়ার্ক ভারতের অনেক রাজ্যে ছড়িয়ে আছে। এই অভিযানের পরে মহারাষ্ট্রে বসবাসকারী একজন জঙ্গিকে কোটা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া দিল্লি থেকে দু’জন এবং উত্তরপ্রদেশ এটিএসের সহায়তায় তিনজন ধরা পড়ে।

Advertisements

পুলিশ-গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছে, জঙ্গিরা ২ টি দল গঠন করেছিল। আনিস ইব্রাহিম একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং তাদের তহবিল যোগর করার কাজ ছিল। ধৃত লালা আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত৷ দ্বিতীয় দলের কাজ ছিল ভারতে উৎসব উপলক্ষে সারা দেশে বিস্ফোরণের জন্য শহরগুলি চিহ্নিত করা। তাদের পরিকল্পনা ছিল দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো। রামলীলা এবং নবরাত্রির অনুষ্ঠানগুলি তাদের টার্গেট ছিল।

স্পেশাল সেলের স্পেশাল সিপি নীরজ ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা ৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছি৷ তার মধ্যে ২ জন প্রশিক্ষণ শেষে পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছে। এর মধ্যে ২ জন প্রথমে মাস্কাটে যান, তারপর তাদের নৌকায় করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, সেখানে থাকা ১৪ জন বাংলায় কথা বলতে পারে৷ পাকিস্তানে তাদের একটি খামার বাড়িতে ১৫ দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।