আমাকে মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন, বিজেপি আমাকে রাজ্যের নেতা বানিয়েছে: শুভেন্দু

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বক্তব্য রাখা কালীন সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনের কথা টেনে আনে। তিনি বিজেপির দিকে একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। এরপরেই ক্ষোভে বিজেপি…

Suvendu Adhikari

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বক্তব্য রাখা কালীন সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনের কথা টেনে আনে। তিনি বিজেপির দিকে একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। এরপরেই ক্ষোভে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

এই ঘটনার পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই রাজ্যের শাসকদলের দিকে তিনি একের পর এক আক্রমণ হানে। শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন, বিল নেই, করতে হয় করছি। সংবিধানকে না মানা তৃণমূল এসব চায় না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এসব বেরোয়। নামেই সর্বদলীয় বৈঠক। মঙ্গলবার, বুধবার কোনও প্রশ্নোত্তর হয়নি। মহিলা কমিশন সহ সবকিছুর একই অবস্থা”।

   

এবার পঞ্চায়েত ভোটে চলেছে বেলাগাম সন্ত্রাস। সঙ্গে চলেছে দেদার ভোট চুরি। এই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ” অধ্যক্ষকে ধন্যবাদ মুলতুবি প্রস্তাব মানার জন্য। বিজেপির সংগঠন নাকি নেই! যেখানে আমাদের এমপি, এমএলএ বিজেপির নেই, তাহলে লুঠ কেনও? ব্যালট খেয়েছেন কেনও? ডিএমরা ডবল ডবল ব্যালট ছাপিয়েছে কেনও?”

শুভেন্দুর তৃণমূলে থাকা কালীন সময়ের কথা টেনে এনে আরো বলেন, “উনি আমাকে মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি আমাকে রাজ্যের নেতা বানিয়েছে। খুব কষ্ট ওনার। তাই বিরোধী দলনেতা বলতে চান না। হ্যাঁ ছিলাম ২০১৮ সালে ওদের সঙ্গে। আমি কাঁথি, তমলুকে ওদের ভোটলুঠ করতে দিইনি। এবার আপনারা পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ বেশি করেছেন। তাই ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে আমাদের ১৮টা সিট ৩৬ হবে”।

তিনি সুস্থ ভাবে ভোট করার পরিবেশের দাবি করে বলেন, ” শুধু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার মানুষকে ভোট দেওয়ার পরিবেশ করে দিন। জনগণ প্রস্তূত হয়ে আছে। ২০১৭ সালে দুর্গাপুর কর্পোরেশনে ভোট করতে দেননি বলে, এখনও সেখানে হারেন।”