যতদিন যাচ্ছে, ততই হুরহুর করে দাম বাড়ছে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির। কিছুদিন আগে ‘দানা’-র প্রভাবও পড়েছিল সবজির বাজারে। তবে এখনও সবজির এই লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধিতে পকেটে টান পড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের। বাজারে গিয়ে সবজির দাম (Vegetable Price) দেখে কার্যত ছেঁকা খাচ্ছে আমজনতা। বলা যায়, সবজির দাম দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে মানুষ।
শুক্রবার সপ্তাহের শেষের দিকে কতটা কমল-বাড়ল সবজির দাম? পুজোর আগে থেকেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে বিভিন্ন সবজির দাম। প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দামে কম-বেশি হেরফের দেখা যাচ্ছে। এখন পটল, ঢেঁড়স, বেগুন, ঝিঙে, আলু, আদা থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ সবজি কিনতে গিয়ে দাম দেখে মাথায় হাত পড়েছে আমজনতার।
শুক্রবারের বাজারে কেজি প্রতি বড় বেগুন মিলছে ৩৫-৩৮ টাকায়। সাইজে একটু ছোট বেগুন মিলছে ৪৪-৪৮ টাকায়। বড় পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজির হয়েছে ৫৫-৬১ টাকা ও ছোট পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে মিলছে ৫৮-৬৪ টাকায়। অন্যদিকে কেজি দরে আদা পাওয়া যাচ্ছে ৮২-৯০ টাকায়। এদিকে আজকের বাজারে আলু প্রতি কেজিতে মিলছে ৪৬-৫১ টাকায়।
গাজর ৫৬-৬০ টাকায়, লঙ্কা ৬৭-৭৪ টাকা, করলার দাম কমে হয়েছে ৪০-৪৪ টাকা। বিনসের দাম কমে হয়েছে ৪৭-৫২ টাকা ও ক্যাপসিকামের দাম সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫৩-৫৮ টাকা। এছাড়াও কুমড়ো বিক্রি হচ্ছে ২২-২৪ টাকা কিলো দরে। পটল, চিচিঙ্গা, কচু ও ঝিঙের দাম প্রায় এক। এদিকে ভালো সাইজের ফুলকপি দাম বেড়ে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকার ওপরে।
বাঁধাকপি প্রতি কেজিতে মিলছে ৩১-৩৪ টাকায়। অন্যদিকে ১ কেজি মটরশুঁটির দাম কমে হয়েছে ৪৬-৫১ টাকায়। এদিকে রসুনের দাম বেড়ে হয়েছে, ২৯৭-৩২৮ টাকা। দেখা যাচ্ছে, আজকে গতকালের থেকে একটু কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। তবে এখনও পর্যন্ত লাগাতার দাম বৃদ্ধি হচ্ছে বিভিন্ন সবজির। প্রসঙ্গত, পুজোর মধ্যে ব্যবসায়ীরা যাতে আর দাম বৃদ্ধি করতে না পারে তার জন্য অনেকদিন আগে বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালিয়েছিল টাস্ক ফোর্স।
এমনকি এ নিয়ে ডাকা বৈঠকে রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজ শুক্রবারে সপ্তাহের শেষের দিকে গতকালের থেকে সবজির দাম কিছুটা কমায় বর্তমানে খুশির জোয়ারে ভাসছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা।