বাংলায় বাড়ছে কালাজ্বর (Black Fever)। ফলে বাংলায় কালা জ্বরে আক্রান্তের পরিসংখ্যান বাড়তেই উদ্বেগও বাড়ছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে জানা যাচ্ছে অক্টোবরে রাজ্য়ে কালাজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ ছিল যা ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ১৪। কালা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এই নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বছর শেষে যেমন ফের করোনা ফিরে এসেছে , ঠিক তেমনি কালাজ্বর ও বাড়ছে এ রাজ্যে। রাজ্য়ের আক্রান্তের পরিসংখ্য়ান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপের মধ্যেই দোসর কালাজ্বর। অক্টোবর মাসে রাজ্যে কালাজ্বরে মৃত্যু হয় হাওড়ার অবধেশ পাসোয়ান নামের এক ব্যক্তির। জানা যাচ্ছে, পরজীবীবাহিত কালাজ্বর হয় বেলেমাছির কামড়ে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম-এর তত্ত্বাবধানে ২০০৩ সালে কালা জ্বর নির্মূল কর্মসূচি শুরু করা হয়। এরপর ২০২১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও রাজ্য় স্বাস্থ্য দফতর যৌথ উদ্যোগে কালাজ্বর নির্মূলকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের জানাচ্ছে, কালাজ্বর ভারত বা বাংলা থেকে নির্মূল এখনও অবধি হয়নি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এই বছর আগস্ট পর্যন্ত দেশে মোট ৩৭৫ জন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্য়ু হয়েছে ৫ জনের। ডিসেম্বরে শুধু বাংলাতেই কালা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন।
এই পরিসংখ্যানের নিরিখে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই কালাজ্বর নিয়েও ফের উদ্বেগ বাড়ল বাংলায়। জানা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে কালাজ্বরের বাড়বাড়ন্ত সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে বিহার, ঝা়ড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে। তবে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বঙ্গে কালাজ্বরের প্রকোপে আঙুল উঠছে কেন্দ্র ও রাজ্য়ের পদক্ষেপে।