‘অপরাধীরা যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় তা আমরা দেখব’, আশ্বাস নগরপালের  

আর জি কর মেডিকেল (RG Kar Case) কলেজের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অশান্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র বাংলায়। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই জায়গায়…

আর জি কর মেডিকেল (RG Kar Case) কলেজের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অশান্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র বাংলায়। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই জায়গায় জায়গায় চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। চলছে বিক্ষোভ। এরই মাঝে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal)।

আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে বিনীত গোয়েল যা বললেন তা শুনে সকলেই রীতিমতো শিহরিত। তিনি জানালেন, ‘পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। সারারাত ধরে তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিডিওগ্রাফির সময়ে পরিবারের সদস্যরা হাজির ছিলেন। একজনকে গ্রেফতার করেছি। সকাল ১০:৩০ টার সময়ে টালা থানায় খবর আসে। চেস্ট ডিপার্টমেন্টে এক মহিলার দেহ পড়ে আছে বলে খবর আসে। আমাদের কোনও কিছু লুকনোর নেই, সবই স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে। পরিবারের সব দাবি আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত। অপরাধীরা যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় তা আমরা দেখবো।’ 

   

তিনি আরও বলেন, ‘এটা অতি ঘৃণ্য অপরাধ তাই সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে হয় সেটা আমরা দেখবো। ময়নাতদন্তের জন্য ৩ ডাক্তারের বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পরিবারের অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাতে চাইলেও আমাদের আপত্তি নেই। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে। হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলী ধর বলেছেন, “আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা  ২০২৩ সালের ১০৩ (১) এবং ৬৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছি। এটি হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি যৌন নির্যাতনের ঘটনা। আমাদের তদন্ত স্বচ্ছ পথে সঠিক পথেই এগোচ্ছে। এই মামলায় আরও যা কিছু হবে, আইন যতটুকু অনুমতি দেবে ততটুকুই আমরা আপনাদের জানাব।”  

এদিকে আর জি করকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও কিছু লুকানোর নেই, প্রয়োজনে অন্য কোনও সংস্থা দিয়ে তদন্ত হোক।” প্রাথমিক ভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তরুণীর মুখ, পেট, ঠোঁট, গলা, এমনকি যৌনাঙ্গেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। কী ভাবে সে সব ক্ষত তৈরি হল, তা রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। সেই রিপোর্টটি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। যারফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জনমানষে। মৃত ওই তরুনীর পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁদের মেয়েকে। তার ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে টালা থানার পুলিশ।