দু’টি ঘটনাতেই জেরবার অবস্থা। বাংলায় দানা বেঁধেছে চাপা বার্ড-ফ্লু আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই মুরগির মাংস দেখলেই চোখ কুঁচকাচ্ছেন অনেকে। ডিমও আর পাতে নিচ্ছেন না বহু। ফলে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিবেক কুমার। তাঁদের আশ্বাস, বাংলায় বার্ড ফ্লুর ঘটনায় উদ্বেগের কিছু নেই। মুরগির মাংস, ডিম খাওয়া যাবে। রাজ্যে এই নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
মালদহে চার বছরের এক শিশুর শরীরে বার্ড-ফ্লু ভাইরাসের হদিস মিলেছে। তারপরেই সক্রিয় হয় স্বাস্থ্য দফতর। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কী ভাবে শিশুটি সংক্রামিত হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে রাজ্যে বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করে এখনও বার্ড-ফ্লুর চিহ্ন মেলেনি। অন্যটি অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা এক শিশুর শরীরেও বার্ড-ফ্লু-র জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা যায়। এক্ষেত্রেও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি স্বাস্থ্যসচিবের।
দুয়ারে বর্ষা? হাওয়া অফিসের বার্তায় স্বস্তির নিঃশ্বাস
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘গতকাল বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বার্ড-ফ্লু সংক্রান্ত ঘটনা দেখা গিয়েছে। মালদহের ঘটনায় আক্রান্ত শিশু এনআরএসএ চিকিৎসাধীন ছিল। অস্ট্রেলিয়ার একটি কেস রয়েছে। তবে এই দু’জনের কন্টাক্টে কোনও নতুন করে সংক্রমণের কোনও তথ্য নেই।’
ছুটিতে যাওয়ার আগে অভিষেকের কড়া ধমক! কোন মন্ত্রীরা পড়লেন রোষানলের মুখে
স্বাস্থ্যসচিবের ঘোষণা, মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও পোলট্রি বার্ডের মৃত্যু হয়নি। পোলট্রি মুরগি খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ‘বার্ড-ফ্লু রাজ্যে ধরা পড়েছে, এটা নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ- রয়েছে। রাজ্যে এর কোনও সোর্স নেই। এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু-র নমুনা পাওয়া যায়নি।’
এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে ১,৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মালদহে যেখানে আক্রান্তের হদিস মিলেছে, সেখানেও এপ্রিল-মে মাসে ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই নমুনাগুলিতে বার্ড ফ্লু ভাইরাস মেলেনি।