নিউ মার্কেট হকারদের সরানোর জন্য তিন দিনের সময়সীমা, সিদ্ধান্তে সম্মতি

নিউ মার্কেটের (New Market) রাস্তায় বসা হকারদের (vendors) তিন দিনের (three day) মধ্যে সরানোর (removed) জন্য কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality) একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার,…

New Market vendors

short-samachar

নিউ মার্কেটের (New Market) রাস্তায় বসা হকারদের (vendors) তিন দিনের (three day) মধ্যে সরানোর (removed) জন্য কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality) একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার, টাউন ভেন্ডিং কমিটির (টিভিসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে নিউ মার্কেট থানার এক আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে হকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা আবেদন করেছিলেন, যাতে পুজোর পর আবার রাস্তার উপর বসে পড়া হকারদের দ্রুত সরানো হয়।

   

কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, ‘‘এই সিদ্ধান্তটি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়েছে। নিউ মার্কেটের (New Market) রাস্তার চেহারা পুজোর আগে যে অবস্থায় ছিল, তা ফিরিয়ে আনা হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেস্টা করছি যাতে সকল হকার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে হকিং করতে পারেন, যাতে রাস্তার চলাচল বিঘ্নিত না হয়।’’

বৈঠকে এই বিষয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যেখানে শহরের বিভিন্ন জায়গায় হকারদের জন্য সমীক্ষা করা হয়েছিল এবং তার মাধ্যমে ৫৪ হাজার হকারের নাম শনাক্ত করা হয়েছে। এই সমস্ত হকারদের তিন মাসের মধ্যে পরিচয়পত্র এবং ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাতে তারা নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় হকিং করতে পারেন।

শহরে হকার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ফুটপাথে হকারদের জন্য হলুদ লাইন কেটে হকিংয়ের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পুজোর সময় কিছুটা শিথিলতা থাকায় অনেক হকার আবার রাস্তায় বসে পড়েন, যা বিভিন্ন জায়গায় যানজট এবং দুর্ঘটনা তৈরি করে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু হকার রাস্তার দখল নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ও পুরসভা যৌথভাবে পদক্ষেপ করছে।

হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা শক্তিমান ঘোষ বলেন, ‘‘পুজোর আগে আমরা নিউ মার্কেটের রাস্তায় যে অবস্থার সৃষ্টি করেছিলাম, তা পুজোর পর আবার আগের মতো ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরেছি।’’

হকার্স জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির নেতা অসিত সাহা বলেন, ‘‘পুজোর আগে নিউ মার্কেটের হকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু পুজোর পর কিছু হকার ফের রাস্তায় বসে পড়েন। আমরা পুলিশের কাছে আইন মেনে হকিংয়ের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছি।’’ কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো শহরের ফুটপাথে নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে হকারদের হকিং করতে দেওয়া, যাতে রাস্তার দখল এবং জনসাধারণের চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।