High Court: চার হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের জীবন অনিশ্চিত

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন করে জটিলতা। নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হতে পারেন প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থী। ১৮ মাসের ডিএল এর প্রশিক্ষিতরা অংশ নিতে পারবেন না…

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন করে জটিলতা। নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হতে পারেন প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থী। ১৮ মাসের ডিএল এর প্রশিক্ষিতরা অংশ নিতে পারবেন না আগেই রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৮ মাসের বেল এর কোর্সে যারা ভর্তি হয়েছেন সেই সংখ্যাটা প্রায় ৪০০০ এর মত। তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে?

সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে যে এই ১৮ মাসে ডি এল এর প্রশিক্ষিতরা অংশ নিতে পারবেন না নতুন নিয়োগে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে সেই মামলাতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কি সিদ্ধান্ত নিল তা জানাতে হবে। আগামী ৪ই জানুয়ারি এই মামলা শুনানি রয়েছে। সেদিন তারা স্পষ্ট করে বলবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কি ভাবছে। এই ৪০০০ ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ কি হবে তা বলতে হবে ৪ তারিখের মধ্যেই।

উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ না নিয়েই অনেকে স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। ২০১৭ সালে চাকরিরতদের জন্য ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল (এনআইওএস)-এর মারফত ‘ওপেন এন্ড ডিস্ট্যান্স লার্নিং’ কোর্স করানো শুরু হয়। চাকরিরতদের জন্য হলেও বহু চাকরিপ্রার্থী সেখান থেকে ১৮ মাসের ডিএলএড কোর্স করেন। তাঁদের অনেকে আবার চাকরি জন্য আবেদনও করেছেন।

গত ২৮ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানায়, নতুন কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না ১৮ মাসের প্রশিক্ষণরতরা। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই পর্ষদকে পদক্ষেপ নিতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যাঁরা ১৮ মাসের কোর্স করেছেন। আইনজীবীরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা সুযোগ পাবেন না।