চাপের মুখেই কি নবান্নের নতিস্বীকার

অবশেষে খুলছে স্কুল (Reopen School)। শুরু হবে অফলাইন লেখাপড়া। ঘোষণা নবান্নের। অনেক বিতর্কের পর। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার পক্ষেই সায় ছিল নবান্নের। অতিমারি আবহ শিক্ষালয়ের দরজা…

অবশেষে খুলছে স্কুল (Reopen School)। শুরু হবে অফলাইন লেখাপড়া। ঘোষণা নবান্নের। অনেক বিতর্কের পর।

স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার পক্ষেই সায় ছিল নবান্নের। অতিমারি আবহ শিক্ষালয়ের দরজা তালা ঝুলবে এটাই ছিল যেন দস্তুর। করোনা আগামী দিনেও হয়তো থাকবে। আগেই জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছিলেন, করোনার দোহাই দিয়ে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ‘অযৌক্তিক’, ‘ভিত্তিহীন’। রাজ্য স্তরেও ক্রমে বাড়ছিল সমালোচনা। পথে নেমে পড়েছিল ছাত্র সংগঠন। ঘটনাক্রমে এরপরেই স্কুল খোলার অনুমতি দিল রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

অতিমারিকে সঙ্গে নিয়েই দেশের অন্যান্য রাজ্যে স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার কী করেন সে দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকেও অফলাইন পঠনপাঠন শুরু করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ইতিপূর্বে।

রাজ্যে পুরভোট এখনো বাকি। তার আগে ঘরের ভিতরকার সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে তৃণমূল। নেতারা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করে হয়ে উঠেছিলেন আলোচনার পাত্র। কোনো রকমে সামাল দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি। অনলাইন লেখাপড়ায় আস্থা হারাচ্ছিলেন পড়ুয়াদের বহু অভিভাবক। স্কুল খুলুক, এই দাবি ছড়িয়ে পড়েছিল সার্বিকভাবে। বিপক্ষে মত রয়েছে নিশ্চই। তবে পক্ষের দিকের দাবি অনেক বেশি জোরালো।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার মান নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু স্কুল-কলেজ যদি বন্ধ থাকে তাহলে আগামী দিনেও গর্ব করার মতো কোনো রসদ থাকবে বাংলার কাছে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। জন-রায়ে বিধানসভা জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল তৃণমূল-কংগ্রেস। সেই জনতার একটা বড় অংশের দাবিই ছিল, স্কুল খুলে দেওয়া হোক।