প্রয়াত শিল্পী রাশিদ খানের অন্তিম যাত্রা। আজ তাঁকে (Rashid Khan) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হবে। আকাশবাণী সংবাদ জানাচ্ছে, সকাল ৯টা থেকে রবীন্দ্র সদনে তাঁর নশ্বর দেহ রাখা থাকবে। সেখানে গুণগ্রাহীরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুর ১টায় গান স্যালুট দেওয়ার পর টালিগঞ্জে কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে। রাশিদ খানের আদি বাড়ি উত্তর প্রদেশের বাদাউনে। তবে, কলকাতাকেই তিনি আপন করে নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রাশিদ খানের প্রয়াণে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন।
“আয়ো গে জব তুম” স্রষ্টা আর আসবেন না
মাত্র ৫৫ বছর বয়সে উস্তাদ রাশিদ খানের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগৎ। প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন এই শিল্পী। তারই চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসায় ভালো সাড়াও দিচ্ছিলেন। কিন্ত ছন্দপতন হয় ডিসেম্বরের শেষে। হঠাৎই সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। তারপরেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার বিকেলে শেষ। আজই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মহান শিল্পীর।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ নাকতলার বাড়ি থেকে শিল্পীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে৷ সেখানে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে মরদেহ শায়িত থাকবে৷ তার পর আবার মরদেহ নিয়ে আসা হয়ে নাকতলার বাড়িতে৷ রবীন্দ্র সদনেই গ্যান স্যালুট দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে৷
তারপর ধর্মীয় মতে যে আচার-অনুষ্ঠান করার কথা রয়েছে, সেগুলি হবে৷ দুপুর সাড়ে তিনটের সময় পদযাত্রা করে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে৷ মরদেহ বাড়িতে রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আগে থেকে বরফ নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে উস্তাদ রাশিদ খানের শেষকৃত্য।
প্রস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিলই। তার মধ্যেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় ব্লিডিং (রক্তক্ষরণ) নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এত দিন হাসপাতালে থাকার ফলে সংক্রমণ হয়েছিল। তড়িঘড়ি ভেন্টিলেশনে দিতে হয় তাকে। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরিয়ে আনা গেল না।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী তথা সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন।