ভয়াবহ পরিস্থিতি সিকিমে ও কালিম্পংয়ে। হড়পা বানে তছনছ উত্তর সিকিমের একাংশ। নিখোঁজ সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। এখনও আটকে বহু পর্যটক। একটার পর একটা দেহ ভেসে আসছে। সিকিম ও কালিম্পঙের বিস্তীর্ণ এলাকা পুরোপুরি বিধ্বস্ত পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন অবস্থায় উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য অরূপ বিশ্বাসকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত আজ দুপুরেই বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে কালিম্পঙের উদ্দেশে রওনা দেবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস পাহাড়ের দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। দিল্লি থেকে সোজা তিনি বাগডোগরা হয়ে কালিম্পঙে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। বিধ্বস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের আশ্বস্ত করে পাশে থাকার বার্তা দেন। এরপরই আজ উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
পাহাড়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে আলোচনা করতে শুক্রবার যোগ দেন জিটিএ প্রধান অনিত থাপা। তিনি মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিস্তার হড়পা বানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
তিস্তার হড়পা বানের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই পরিস্থিতি খারাপ নদীর দুই পাড়ে কারণ জলস্তর নেমে আস্তেই বেরিয়ে আসছে পলির স্তর। দেখা যাচ্ছে যে কোথাও কোথাও কোনও বাড়ির একতলার পুরোটাই চলে গিয়েছে পলির স্তরের নীচে।