চিরকুটে চাকরি: শাসকদলের উদ্দেশ্যে চ্যালঞ্জ ছুঁড়লেন সুজন-পত্নী মিলি চক্রবর্তী

এবার শাসক দলের (ruling party) উদ্দেশ্যে চ্যালঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) পত্নী মিলি চক্রবর্তী (Milly Chakraborty)৷

Sujan Bhattacharya

যারা আমার চাকরির ক্ষেত্রে সুপারিশ হয়েছে বলে জনসমক্ষে উল্লেখ করছেন, তাঁদেরকেই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আমি না৷ যারা বলছে সুপারিশ হয়েছে, সুপারিশের কাগজটা বের করুন৷ আমি তার মুখোমুখি হতে চাই। এবার শাসক দলের (ruling party) উদ্দেশ্যে চ্যালঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) পত্নী মিলি চক্রবর্তী (Milly Chakraborty)৷

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা বিরোধীদের মুখবন্ধ করতে নেমে বাম আমলে নেতাদের পারিবারিক সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করছে তৃণমূল। সেখানেই সিপি(আই)এম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পত্নী মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগপত্র প্রকাশ করে বেনিয়মের অভিযোগ তুলছে ঘাসফুল শিবির৷ এবার তা নিয়ে গর্জে উঠলেন মিলি চক্রবর্তী নিজেই।

তাঁর কথায়, সারা রাজ্যজুড়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমাকে নিয়ে কেন, যে কাউকে নিয়ে এই ঘটনা ঘটতেই পারে৷ এটা হয়েছে বলে আমরা তার জন্য বিচলিতও নই৷ কিন্তু এই ঘটনার কোনও সারবত্তা নেই। কোনও প্রমাণ নেই। এমনটাই দাবি করছেন মিলি চক্রবর্তী।

অন্যদিকে, গতকাল দলের তরফে এই অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল অবধি জানতামই না। আমরা ওদের মতো কে কখন ট্রেনে, বাসে যাতায়াত করছে, বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করছে, খোঁজ করি না। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। তখনও গ্রুপ সি এবং ডিকে ওরা কলেজ সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। নথি থেকে তাই পরিষ্কার নয় যে, ওঁর ক্ষেত্রে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না। তবে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি হয়েছিল কি না, সেনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই তদন্ত শুরু করবেন৷ এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।