Mamata Banerjee: ভোটের আগে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করলেন মমতা

রেড রোডে দুদিনের ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখান থেকে শনিবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজে বাংলার শ্রমিকদের টাকা মেটাবে তার…

mamata banerjee called an emergency meeting with mayors secretaries of all municipal corporations

রেড রোডে দুদিনের ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখান থেকে শনিবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজে বাংলার শ্রমিকদের টাকা মেটাবে তার সরকার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লক্ষ বঞ্চিতের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে বলে এদিন ধর্নামঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ভাবছে বাংলাকে ভাতে মারব। আমি আমার প্রথম পদক্ষেপ আজ বলে যাই। ২১ লক্ষ মজদুর যাঁদের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। রাজ্য সরকার দেবে।” মমতা আরও বলেন, আবাসনের ১১ লক্ষ ‘ক্লিয়ার করেও করেনি’। মমতার কথায়, “আবাসনেরটা আমি আজকে বলব না। ঠিক টাইমে আবার বলব। বিশ্বাস রাখবেন, ভরসা রাখবেন। আমরা ভিক্ষা চাই না, জয় করতে চাই না।”

   

এই বিপুল টাকা আসবে কোথা থেকে? মুখ্যমন্ত্রী সে জবাবও দেন এদিন মঞ্চ থেকেই। জানান, এটা মানুষের টাকা, মাটির টাকা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিন বছর ধরে ১০০ দিনের শ্রমিকদের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। সেই হকের টাকা দেবে বাংলার সরকার, জানিয়ে দেন মমতা।

রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে নিঃসন্দেহে এদিনের ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক। ১০০ দিনের কাজের টাকার বঞ্চনার অভিযোগকে সামনে রেখে টানা লড়াই করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের ঘোষণা সেই লড়াইয়ের পালে যে হাওয়া দিল, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এই ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “ক্যাগ (CAG) বলেছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে এসেছে বিভিন্ন সময়ে। তার কোনও হিসাব রাজ্য দেয়নি। এমার্জেন্সি ফান্ডেরও কয়েক হাজার কোটি টাকার হিসাব নেই। সেগুলি গেল কোথায়? ভোটবাক্স এত সহজে যায় না। আর ওনার কাছে যদি টাকা ছিল তা আগেই দিয়ে দিতে পারতেন।”

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, “এটা ভোটের আগে একটা ঢপের কীর্তন হবে। বলবেন, দেখুন ১০০ দিনের কাজে আমি কত বড় আন্দোলন করছি। আরে কলকাতা তো টাকা দেবে না। যদি সত্যি টাকা আদায় করতে হয় চলুন দিল্লি। সেখানে গিয়ে অনশন করুন। আমার দাবি এটা আপনার কাছে।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তার মানে ওনার কাছে টাকাটা জোগাড় করা আছে। তাহলে এতদিন দিলেন না কেন? ভোটের সময় মনে পড়েছে এটা?”