মাধ্যমিক আটকাতে মেয়েকে মারধর বাবার, পুলিশের দ্বারস্থ পড়ুয়াসহ মা

মুর্শিদাবাদ: মেয়ের পড়াশোনা করা মোটেই পছন্দ করেন না বাবা৷ তাও মা-এর সহযোগিতায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত এসেছে৷ কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেবেন না বাবা৷ তাই মেয়ের…

মুর্শিদাবাদ: মেয়ের পড়াশোনা করা মোটেই পছন্দ করেন না বাবা৷ তাও মা-এর সহযোগিতায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত এসেছে৷ কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেবেন না বাবা৷ তাই মেয়ের পরীক্ষা আটকাতে মারধর, ঘরে আটকে রাখা, কিছুই বাকি রাখেননি তিনি৷ কিন্তু তবু আটকাতে পারল না মেয়ের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেওয়া৷ সটান থানায় হাজির হয়ে পুলিশের সহায়তায় পরীক্ষায় বসল মাধ্যমিক পড়ুয়া৷

জানা গিয়েছে, রফিকুল ইসলাম ও পপি বিবির চার সন্তান৷ বাড়ি ফরাক্কার ইমামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুরে লাওয়ার হাটে৷ পেশায় রাজমিস্ত্রি রফিকুলের বড় মেয়ে তাহামীরা৷ অভিযোগ, রফিকুল চান না তাঁর মেয়ে পড়াশোনা করুক৷ তাই মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করতে প্রতিদিন তাকে মারধর করত৷

অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরে বাড়িতে তুমুল অশান্তিও করছেন রফিকুল ইসলাম৷ তাহামীরাকে মারধরের পাশাপাশি ঘরে বন্দিও করে রাখেন তিনি৷ তাহামীরের মা পপি বিবির ইচ্ছা মেয়ে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ যেন হয়৷ তাই তিনি সবসময় স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়ে মেয়ের পাশে থেকেছেন৷

তাই শনিবার পরীক্ষার আগে মাকে নিয়ে সোজা ফারাক্কা থানায় চলে যায় ওই ছাত্রী৷ ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন৷ তিনিই নিজে উদ্যোগ নিয়ে সোজা ওই ছাত্রীকে নিয়ে চলে যান অর্জুনপুর হাইস্কুলে৷ এরপর পুলিশের সহযোগিতায় তাহামীর পরীক্ষায় বসে৷