পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে দার্জিলিংয়ের বাগডোগরা বিমান বন্দরে হেলিকপ্টারে আসার সময় দুর্যোগের কবলে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে বহন করা হেলিকপ্টার। সেই কপ্টার অবতরণ করে সেবক সেনা ঘাঁটিতে।
কী ঘটেছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আর তিরিশ সেকেন্ড দেরি হলেই মানুষটা মরে যেত। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “আমি এমনি ঠিক আছি। কিন্তু আমার কোমরে এবং পায়ে চোট আছে। আর ৩০ সেকেন্ড হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ করে যেত, নষ্ট হয়ে যেত। আমাদের সরকার মানুষের জন্য যা কাজ করেছে, যারা বড় বড় কথা বলে ভোটের সময়, এমনকী আমার দুর্ঘটনা নিয়েও। যে মানুষটা ৩০ সেকেন্ডে মরে যেতে পারত, তার সম্পর্কেও উল্টোপাল্টা বলে বেড়াচ্ছে, অপপ্রচার করছে। আমি জনগণের কাছে এর বিচার চাইব।”
গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী কপ্টার থেকে সেনা ছাউনিতে নামার সময় চোট পান। পরে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি বাড়িতে আছেন। পঞ্চায়েত ভোটের ভার্চুয়াল প্রচার থেকে তিনি বলেছেন, কপ্টারের মধ্যে কী ঘটেছিল।
এদিকে সেবকে তাঁর কপ্টার নামার পর সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড যে ছবি দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ও সেনা অফিসাররা কথা বলতে বলতে হাঁটছেন সেনা ছাউনিতে কিছুক্ষণ থাকার পর তিনি বাগডোগরা ফিরে বিমানে কলকাতায় আসেন।