Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয় খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিন হাজার কোটির দুর্নীতি

১ কোটি ৬৬ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ডে দুর্নীতি হয়েছিল। ২৮ টাকা কিলো দরে চাল বিক্রি হয়েছিল এবং সেই দুর্নীতির টাকার কথাই বারবার উঠে আসছে। যে…

১ কোটি ৬৬ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ডে দুর্নীতি হয়েছিল। ২৮ টাকা কিলো দরে চাল বিক্রি হয়েছিল এবং সেই দুর্নীতির টাকার কথাই বারবার উঠে আসছে। যে সময়কালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছিলেন দায়িত্বে সেই সময় কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে।

জানা যাচ্ছে যা প্রায় ৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এবং এটাই হয়ত দেশের মধ্যে সব থেকে বড় রেশন দুর্নীতি হতে চলেছে। দ্বিতীয়বারের জন্য যখন তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে ২০১৬-২০১৮ সালের মধ্যে সিএজি বারবার করে তথ্য চেয়েছিল খাদ্য দফতরের কাছে। কত কার্ড ব্লক করা হয়েছে, কতজনকে খাবার দেওয়া হয়, খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়, কতজনকে আটা দেওয়া হয়, কতজনকে চাল দেওয়া হয়, গোটা তথ্য চাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য দেওয়া হয়নি খাদ্যদফতরের তরফে বলে অভিযোগ। মুখ্যসচিবকেও চিঠি দেওয়া হলেও তারও কোন উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। সিএজি বারবার করে চিঠি দিয়েও কোন উত্তর পায়নি বলে অভিযোগ।

ভুয়ো রেশন কার্ডে দুর্নীতির বিষয়ে বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “২০২১ এর পরে যদি এরকম কোন ইনফর্মেশন থাকে তাহলে আমায় দিলে আমি বলতে পারব। কিন্তু আগের ব্যাপারটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল।“

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী, অচিন্ত্য পতি সবগুলো চোর একেকটা, ডাকাত। পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকীকে বাকিবুর ১.৫ কোটি টাকা করে মাসে দিত।“ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, “বাকিবুরের মাথায় হাত তৃণমূলের নেতাদের। তাদের মাথায় হাত দিয়ে চলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের মাথায় হাত দিয়ে চলেন মুখ্যমন্ত্রী।“

তৃণমূলের রাজ্য মুখপত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “খাদ্য দফতরের দুর্নীতি বাম আমল থেকে চলে এসছে।“ অপর দিকে তৃণমূলের শান্তনু সেন বলেন, “অভিযোগ আর দোষী প্রমাণিত দুটোর মধ্যে তো আকাশ আর পাতাল তফাৎ।“