Madan Mitra: যন্ত্রনায় ছটফট করছেন মদন মিত্র, SSKM-এ হলেন না সুস্থ

বাম জমানাতেও এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ কথা ছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেই মদন মিত্র এসএসকেএমে চিকিৎসা করেও সুস্থ হলেন না। পরিবার সূত্রে খবর, তিন দিন…

Madan Mitra in SSKM

বাম জমানাতেও এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ কথা ছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেই মদন মিত্র এসএসকেএমে চিকিৎসা করেও সুস্থ হলেন না। পরিবার সূত্রে খবর, তিন দিন আগে বাঁ হাতে এমন যন্ত্রণা শুরু হয় যে মুকুন্দপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তার পর এক্স রে করে দেখা গিয়েছে, বাঁ হাত ভেঙে যাওয়ার পর এসএসকেএম হাসপাতালে যে প্লেট লাগানো হয়েছিল, তার স্ক্রু খুলে গেছে। শুধু তা নয়, হাতে আরও একটি ফ্র্যাকচার রয়েছে। যার চিকিৎসা এসএসকেএম হাসপাতালে হয়নি।

ডিসেম্বর মাসের গোড়ায় শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মদন মিত্রকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, বুকে সংক্রমণ ঘটেছে। শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রেখে বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিতে হয়। এর পর হাসপাতালেই পড়ে গিয়ে বাঁ হাত ভাঙে মদনের। এসএসকেএম হাসপাতালে মদন মিত্রর এমআরআই হয়। তার পর বাঁ হাতে অস্ত্রোপচার করে প্লেট বসাতে হয়। এসএসকেএম থেকে বাড়ি ফিরে পুরোপুরি সুস্থ হননি মদন মিত্র। তার নিজের নির্বাচন কেন্দ্রেও যেতে পারেননি। এরই মধ্যে হঠাৎই বাঁ হাতে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। তার প্রাথমিক চিকিৎসা করতে গিয়েই দেখা যায় যে প্লেটের স্ক্রু খুলে গেছে। ঠিক কতগুলি স্ক্রু খুলে গেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে পরিবারের সঙ্গে ডাক্তাররা কথা বলে পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনার কথা জানাবেন। এসএসকেএম থেকে ফেরার পরেও মদন মিত্র শারীরিক ভাবে দুর্বল ছিলেন। বুকে সংক্রমণের পর প্রবল শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসার পরেও সুস্থ হতে সময় লাগে।

জানা গেছে, তিনি এতটাই দুর্বল যে এক জনের কাঁধে ভর দিয়েও চলতে পারছেন না। দুজনের মিলে ধরে তুলতে হচ্ছে। শুক্রবার সেভাবেই কোনওরকমে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭.৫। তিনদিন চিকিৎসার পরেও এখন তা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়েনি। অস্ত্রোপচারের ‘ত্রুটির’ অভিযোগ থাকলেও মদন মিত্রর পরিবার অবশ্য এসএসকেএমের বিরুদ্ধে কোনও অনাস্থা প্রকাশ করেননি।