Loksabha Election: ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক সৌজন্য দেখালো সৃজন ও সায়নী

কি কেন্দ্র কি রাজ্য – দুই শাসক দলই পাল্লা দিয়ে নির্বাচনী (Loksabha Election) ভাষণে অপসংস্কৃতিকে নিয়ে আসছে। ফলত বাংলার সেই চিরন্তন সংস্কৃতি উধাও হয়ে গিয়েছে…

loksabha-election-srijan-and-sayani-shows-extraordinary-political-courtesy152632

কি কেন্দ্র কি রাজ্য – দুই শাসক দলই পাল্লা দিয়ে নির্বাচনী (Loksabha Election) ভাষণে অপসংস্কৃতিকে নিয়ে আসছে। ফলত বাংলার সেই চিরন্তন সংস্কৃতি উধাও হয়ে গিয়েছে বলে সমাজের শিক্ষিত মানুষজনেরা……

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সব দলই শুরু করে দিয়েছে তার প্রচার। গত বেশ কয়েক বছর ধরে সেই প্রচারে চলছে ব্যক্তিগত আক্রমন ও কদর্য ভাষার প্রয়োগ। কি কেন্দ্র কি রাজ্য – দুই শাসক দলই পাল্লা দিয়ে নির্বাচনী (Loksabha Election) ভাষণে অপসংস্কৃতিকে নিয়ে আসছে। ফলত বাংলার সেই চিরন্তন সংস্কৃতি উধাও হয়ে গিয়েছে বলে সমাজের শিক্ষিত মানুষজনেরা এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে থাকেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে একটু হলেও সৌজন্যতাবোধ দ্যাখা গেল যাদবপুরে। ওই কেন্দ্রের বাম ও জোড়াফুল দুই প্রার্থী একে অপরকে রাজনৈতিক শুভেচ্ছা জানালেন।

যাদবপুরে এবার বাম প্রার্থী সিপিএমের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। আর তৃণমূলের অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সৃজনের নাম ঘোষণার পরেই সম্পূর্ণ সৌজন্য বজায় রেখে সায়নী বলেন, ”সৃজনকে অল দ্য বেস্ট। তবে আমার লড়াই শুধু সৃজন বা অনির্বাণবাবুর বিরুদ্ধে নয়। লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। বহিরাগত অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই।” সেই সূত্র ধরেই সৃজন বলেন, “আমি ওনার অল্প কিছু অভিনয় দেখেছি। অভিনয় ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল। আমার মতোই তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিবিদ। ভাল থাকুন।”

বাংলার রাজনীতি থেকে এই সৌজন্যবোধ টুকু হারিয়ে গিয়েছে বহুদিন। নাগরিক মহল বলছেন, আবার ফিরে আসুক সেই সৌজন্যের রাজনীতি।

তবে কি সৃজন ও সায়নীর এই শুভেচ্ছাবার্তা থেকেই ফিরতে চলেছে রাজনৈতিক সৌজন্যতাবোধ? এই উত্তর পেতে অবশই সকলের অপেক্ষা করতে হবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত। সত্যিই  নব প্রজন্মের হাত ধরে আবার সেই সৌজন্যতাবোধ বাংলায় ফিরে আসে কি না!