Lakhimpur kheri: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-পুত্র আশিসকে পুলিশি হেফাজতে না নেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর লখিমপুর খেরি (Lakhimpur kheri) কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র। শনিবারই পুলিশের কাছে হাজিরা…

Lakhimpur kheri: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-পুত্র আশিসকে পুলিশি হেফাজতে না নেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর লখিমপুর খেরি (Lakhimpur kheri) কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র। শনিবারই পুলিশের কাছে হাজিরা দেন আশিস। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনজীবী মহল প্রশ্ন তুলেছেন, কেন খুনের মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হল না।

এই ঘটনার তদন্তে নিশ্চিতভাবেই আশিসকে আরও জেরা করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুলিশি হেফাজতে না নিয়ে কেন তাঁকে প্রথমেই জেল হেফাজতে পাঠানো হল। শুধু তাই নয়, জেলের ভিতরে আশিসের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত একজন বন্দি বিশেষ সুবিধা পাবে। এর একমাত্র কারণ আশিস বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে। বাবা ও ছেলে দুজনেই প্রভাবশালী ব্যক্তি। অনেকেই নাম গোপন করে বলেছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলী হেলনেই চলছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ও পুলিশ। সে কারণেই আশিসকে সরাসরি জেল হেফাজতে পাঠানো হল।

লখিমপুরে ৪ কৃষককে খুনে অভিযুক্ত আশিসকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ হাইকোর্ট। শনিবার টানা ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় আশিসকে। এদিন তাকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিজ্ঞাসাবাদে সময় পুলিশের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেন মন্ত্রী পুত্র। তার পরেও কেন আশিসকে পুলিশ হেফাজতে না দিয়ে সরাসরি জেল হেফাজতে পাঠানো হলো তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আশিস তাদের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করছে না। যদিও তার পরেও পুলিশের তরফে আদালতে আশিসকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি তোলা হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, বেজেপি নেতা তথা মন্ত্রীপুত্র বলেই আদালতে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে তৎপর ছিল যোগীর পুলিশ। যার জেরেই পুলিশি হেফাজতের পরিবর্তে জেল হেফাজত হয়েছে আশিসের।

Advertisements

লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই যোগী সরকারকে নিশানা করছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও এই ঘটনায় মোটেই খুশি নন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। পুরোটাই লোকদেখানো বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, মন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন যোগী। জনগণের ফোরাম থেকে মন্ত্রীকে রক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী লখনউ এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের পারফরম্যান্স এবং আজাদি কি অমৃত মহোৎসব দেখতে। কিন্তু, উনি লখিমপুর খেরির নিহতদের পরিবারের কষ্ট ভাগ করে নিতেন এলেন না। বরং প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী কৃষকদের জঙ্গি বলেছেন। যোগীজি তাঁদের গুণ্ডা বলেছেন। কৃষকদের হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার সর্বোতভাবে আড়াল করছে অভিযুক্তদের।’