চাপের মুখে লখিমপুরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আশিসকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজত

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে গাড়িচাপা দিয়ে চার কৃষককে খুন করার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র (Ashish Mishra)। শনিবার দীর্ঘ…

Ashish Mishra

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে গাড়িচাপা দিয়ে চার কৃষককে খুন করার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র (Ashish Mishra)। শনিবার দীর্ঘ ১২ ঘন্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

আশিসকে রবিবারে আদালতে তোলা হয়। রবিবার আদালত আশিসকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। রাজনৈতিক মহল থেকে আইনজীবীরা সকলেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে কেন পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চাইল না?

শেষ পর্যন্ত পুলিশের দাবি মেনে সোমবার আশিসকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছে না মন্ত্রীপুত্র।

এদিন শুনানি শুরু হলে পুলিশ আদালতকে জানায়, ৩ অক্টোবর ঘটনার দিন কৃষক হত্যার সময় তিনি কোথায় ছিলেন তা কিছুতেই বলছেন না আশিস। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি কার্তুজের খোল মিলেছিল। কৃষকদের অভিযোগ, আশিসের বন্ধুরাই গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু আশিস দাবি করছেন, কেউ গুলি চালায়নি।

মন্ত্রী অজয় মিশ্র বলেছিলেন, লখিমপুরের ঘটনার সময় তাঁর ছেলে অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, ওই দিন দুপুর দুটো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন না আশিস। তার ফোনের লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ঘটনার সময় তিনি লখিমপুরের কাছাকাছিই ছিলেন।

এরপরই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এদিন আদালতে স্পষ্ট জানায়, মন্ত্রীপুত্র আশিস তদন্তে আদৌ সহযোগিতা করছে না। এই মামলার তদন্তে আশিসকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। এজন্য আশিসকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হোক। অন্যদিকে আশিসের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল ঘটনা সম্পর্কে যতটা জানেন ততটাই বলেছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর মুখ দিয়ে অন্য কথা বলাতে চাইছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত সোমবার আশিসকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠায়।

অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র সিং এদিন লখিমপুরের ঘটনার কথা টেনে বলেন, নেতা হওয়া মানে এই নয় গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ মারতে হবে। রাজনীতি করতে হলে সবার আগে ব্যবহার ঠিক করতে হবে। কারণ মানুষ একজন রাজনীতিবিদের ব্যবহার লক্ষ্য করে তবেই ভোট দেন। রাজনীতি মানে সমাজসেবা, কারও প্রাণ কেড়ে নেওয়া নয়।

অন্যদিকে যত সময় যাচ্ছে ততই বিরোধীরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, অজয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকলে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হবে না।