Kunal Ghosh : ‘হীরক রাজার দেশে’ দেখার ইচ্ছে, কুণাল ঘোষ কি তবে ‘রঙ্গ’ দেখাবেন

আজ সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সদ্য পদ খোয়ানো তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, ”আজ আবার হীরক রাজার দেশে দেখব!” এই পোস্ট…

Kunal-Ghosh

আজ সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সদ্য পদ খোয়ানো তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, ”আজ আবার হীরক রাজার দেশে দেখব!” এই পোস্ট কি ইঙ্গিতবাহী? তিনিও কি এইবার বলে বসেবন যে দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না? তিনিও কি আবার ‘রঙ্গ’ দেখাবেন বলে গুটি সাজাচ্ছে। নাকি তিনিও আবার দলদ্রোহীদের দলে নাম লেখাবেন! বলা মুশকিল। এই ভোটের রাজারে হীরক রাজার দেশ নাকি রাজ্য উনি যে ঠিক কীসের কথা বলতে চেয়েছেন সেই নিয়ে আস্ত একটা উপন্যাস লেখা হয়ে যেতে পারে।  তবে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি বললেন, ” হীরক রাজার দেশে তো যে কোনও বয়সে দেখা যায়!”  শুধু তাই নয়, ক্যামেরার সামনে গান গাইলেন।

তাঁর গলায় শোনা গেল, ” কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়। ও ভাই রে, কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়….” হঠাৎ তাঁর গলায় এই গান। তৃণমূলের কোনও প্রেস কনফারেন্স মানেই ঘোষ বাবু। তাঁর উচ্চাঙ্গ কণ্ঠই তো ছিল ঘাসফুলের অস্ত্র তাহলে হঠাৎ এই রঙ্গের কারণ কি? তাঁকে পদ থেকে সরানোই কি কাল হলো? এবার কি তিনি দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন। ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে, ” হয়ত দল আমার উপর আস্থা হারাচ্ছে। মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তো এই নির্দেশ কেউ দেবে এমনটা হতে পারে না।” তাহলে প্রশ্ন উঠেছে তাপস রায়কে সাধুবাদ জানানোই কি কাল হলো? যদিও তাঁর অপসারণের পরই তিনি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেবকে আক্রমণ করেছেন।

   

কুণালের প্রশ্ন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘গদ্দার’ বলেছিলেন। দেব বলেছিলেন ‘গদ্দার’ শব্দে তাঁর আপত্তি রয়েছে। তা হলে কি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধাচরণকে দলে উৎসাহিত করা হয়? তাঁর ইঙ্গিত বেশ স্পষ্ট। দলের একাংশকে তিনি দায়ী করেছেন। তবে বারবার প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ হীরক রাজার দেশে কেন তাঁর দেখার ইচ্ছে হলো। একজন ব্যক্তি তাঁর সমাজ মাধ্যমে করা পোস্টের নীচে লিখেছেন, হীরক রাণীর রাজ্যে দেখা উচিত। কথাটির গূঢ় অর্থ বেশ বার্তাবাহক। তাহলে কি অবশেষে কুণাল ঘোষ রঙ্গ দেখাবেন? সময়ই উত্তর দেবে।